গুগল ইনকাম সিক্রেট টিপস: ১০০% রিয়েল, এখনই শুরু করুন
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন? এই গাইডে থাকছে ২০২৫ সালের সেরা ও
যাচাইকৃত ১০ টি কৌশল। যা আপনি ঘরে বসেই শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও জানাবো গুগল
এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে।
গুগল থেকে অনলাইনে আয় করতে চান? জানুন এডসেন্স, প্লে স্টোর, সার্ভে, এডমব, ও
google এর AI টুলস ব্যবহার করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার ১০০% সত্যিকারের উপায়।
থাকছে নতুনদের জন্য ধাপে ধাপে গাইড।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়/ গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
- কিভাবে উপার্জন করে গুগল জানুন আয়ের গোপন রহস্য
- গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ব্লগ তৈরি করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার উপায়
- গুগল ফোরাম সাইড থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- গুগল ওয়ার্কস্পেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে আয়
- গুগল প্লে স্টোর এ অ্যাপ প্রকাশ করে আয় করার ধাপগুলো
- গুগল অপিনিয়ন রিউওয়ার্ড/মোবাইল থেকে ছোটখাটো ইনকাম
- গুগল এআই টুলস ও মেশিন লার্নিং দিয়ে ইনকামের নতুন দিক
- গুগল সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- গুগল ম্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- গুগল ডকস/সিটস টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি
- গুগল পে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- গুগল অ্যাডমব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
- গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
- এত লক্ষ লক্ষ মানুষ এডসেন্স কেন ব্যবহার করে জানুন
- গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
- গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় আমার নিজস্ব অভিমত
কিভাবে উপার্জন করে গুগল/ আয়ের গোপন রহস্য
কিভাবে উপার্জন করে গুগল, গুগল এর কাজ কি? সহজ ভাষায় বুঝে নিন গুগলের আয়ের
গোপন রহস্য। google নামটা আমরা সবাই চিনি। প্রতিদিন কিছু না কিছু খুঁজতে গিয়ে
আমরা গুগল ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো কি চিন্তা করেছেন এই বিশাল সার্চ ইঞ্জিনটা
কিভাবে কোটি কোটি টাকা আয় করে? গুগলতো আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয় না, তাহলে এত
টাকা আসে কোথা থেকে?
বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেকেই ঘরে বসেই আয়ের পথ খুঁজে চলেছেন। আর সেই পথের মধ্যে
সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি হলো গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়। google শুধু একটি
সার্চ ইঞ্জিন নয় বরং এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মাসে
হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি ব্লগিং, ইউটিউব, ডেভেলপমেন্ট কিংবা
গুগল এডসেন্স সম্পর্কে একটু ধারণা রাখেন তাহলে এই আয় এর উৎস আপনার হাতের
নাগালেই।
বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর যুগে অনলাইনে আয় করা এখন শুধুমাত্র স্বপ্ন নয়।
বিশেষ করে গুগলের মাধ্যমে আয় করার পথ এখন অনেক সহজ হয়েছে। অনেকেই প্রতিদিন
গুগলে সার্চ করছেন গুগল থেকে আয় করার উপায়। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো এমন ১০টি
বিশ্বস্ত ও কার্যকর পদ্ধতির কথা যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম শুরু করতে
পারবেন। গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জানার আগে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে
উপার্জন করে গুগল।
- গুগল এডস আয় এর মূল ফ্যাক্টরিঃ গুগলের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হলো বিজ্ঞাপন, যেটা তারা চালায় গুগল এডস প্লাটফর্ম দিয়ে। যখন আপনি গুগলে কিছু সার্চ করেন আপনি হয়তো উপরে কিছু অ্যাড লেখা বা লিংক দেখতে পান তাইনা। এই বিজ্ঞাপন দাতারা গুগলকে টাকা দেয় যেন তাদের লিংক বা প্রোডাক্ট সবার আগে আসে। উদাহরণঃ কেউ যদি অনলাইন শপিং লিখে সার্চ করে, তখন দারাজ বা ইভালি এর মত কোম্পানির বিজ্ঞাপন উপরে আসে। এই অ্যাড দেখানোর জন্য গুগল টাকা পাই এটাকে বলা হয় পে পার ক্লিক PPC মানে কেউ যখন ক্লিক করে তখন গুগল টাকা পাই।
- গুগল এডসেন্স সবার কনটেন্টে গুগলের বিজ্ঞাপনঃ গুগল শুধু নিজের রেজাল্টই নয়, অন্যদের ব্লগ ইউটিউব ভিডিও, নিউজ পোর্টাল এমনকি মোবাইল এবং বিজ্ঞাপন দেখায়। এই জন্য তারা ব্যবহার করে গুগল এডসেন্স। আপনি যদি নিজের একটা ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল খুলেন তাহলে গুগল সেখানে বিজ্ঞাপন দেখাবে আর ইনকামের একটা ভাগ আপনাকে দেবে আর বাকি টাকা গুগলের। এইভাবে গুগল হাজার হাজার ওয়েবসাইট ও ইউটিউবারদের সাথে কাজ করে মোটামুটি ইনকাম করে।
- Youtube- বিনোদনের সাথে আয়ঃ যদি ওই ইউটিউব গুগল এর একাংশ তবুও এটি নিজেই একটা ইনকামের খনি। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ youtube এ ভিডিও দেখে, আর সেখানে প্রতিটি ভিডিওতে অ্যাড দেখানো হয়। এগুলো থেকে আয় আসে গুগল এডস এর মাধ্যমে। এছাড়াও ইউটিউব, প্রিমিয়াম চ্যানেল, মেম্বারশিপ, সুপার চ্যাট ইত্যাদি থেকেও গুগল আয় করে।
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে গুগল উপার্জন করে থাকে। এছাড়াও আলোচনা
করব গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় বিস্তারিত বিশ্লেষণ
বর্তমান সময়ে গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে পাওয়া অনেকের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই লেখায় আমরা বিস্তারিত জানবো কিভাবে গুগল এর বিভিন্ন
প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আয় করা যায়। আজকাল আমরা সবাই গুগল ব্যবহার করি- কখনো
কিছু খুঁজে দেখি, আবার কখনো ভিডিও দেখি, ছবি দেখি বা অ্যাপ ডাউনলোড করি কিন্তু
জানেন কি এই গুগল থেকেই আপনি বৈধ ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন?
হ্যাঁ শুনতে একটু অবাক লাগলে এটা সম্ভব। বর্তমান ডিজিটাল যুগে গুগল শুধু একটি
সার্চ ইঞ্জিন নয় এটি একটি আয়ের সুযোগের বিশাল জগতো বটে। আপনি যদি ইন্টারনেট
ব্যবহার জানেন আর আপনার হাতে একটি স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি গুগল
থেকেই বৈধভাবে আয় শুরু করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নিয়ে যান গুগল থেকে টাকা
ইনকাম করার উপায়গুলো-
ধাপ-১ ঃ আপনি কোন কাজটা ভালো পারেন সেটা ঠিক করুন।
- প্রথমেই ভাবুন আপনি কি করতে পারেন বা করতে ভালোবাসেন? আপনি কি লিখতে পারেন? ভিডিও বানাতে পারেন? অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারেন? পড়াতে পারেন? ডিজাইন করতে পারেন? গুগল অনেকভাবে আয় করার রাস্তা দেয় কিন্তু আপনাকে একটা জায়গা বেছে নিতে হবে।
ধাপ-২ ঃ সেই কাজ অনুযায়ী প্লাটফর্ম বেছে নিন। আপনি কি করবেন সেটা বুঝে নিন আর
সেই অনুযায়ী গুগলের কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন তা ঠিক করুন যেমন।
- ব্লগিং
- গুগল ফোরাম
- ওয়ার্কস্পেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি
- প্লে স্টোরে এক প্রকাশ করে আয়
- অপিনিয়ন রিউওয়ার্ড থেকে ইনকাম
- সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম
- গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম
- ডকস/সিটস টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি
- গুগল পে থেকে টাকা আয়
- গুগল অ্যাডমব থেকে টাকা ইনকাম
- গুগল এডসেন্স থেকে আয়
গুগল থেকে ইনকাম করা সহজ যদি আপনি ঠিক ভাবে শুরু করেন। এখানে কোন শর্টকাট নেই।
ধৈর্য পরিশ্রম আর সঠিক ভাবে চালিয়ে গেলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। আশা
করছি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার পাই সম্পর্কে
ব্লগ তৈরি করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার সহজ পথ
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ব্লগিং করে আয়। গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় এর
মধ্যে ব্লগিং অন্যতম। আজকাল অনেকেই চাই ঘরে বসে আয় করতে। শুনলে অবাক লাগতে পারে,
কিন্তু সত্যিই একটা ব্লগ ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনি google এডসেন্স থেকে ভাল অংকের
টাকা ইনকাম করতে পারেন। ভাবছেন কিভাবে? গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন
সেবা, যা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবে।
আপনি কি লিখতে ভালোবাসেন? তাহলে একটা ব্লগ খুলুন। বিষয় হতে পারে টেক, ভ্রমণ,
রান্না বা আপনার যেটাতে অভিজ্ঞতা আছে অর্থাৎ যে কোন কিছু। নিয়মিত মানসম্মত পোস্ট
করুন। আপনার ওয়েবসাইটে যদি কিছু ভালো মানের পোস্ট থাকে আর বেশি ট্রাফিক আসতে
শুরু করে তাহলে গুগল এডসেন্স এপ্লাই করুন। তারপরে অনুমোদন পেলে আপনার ব্লগে
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় শুরু হবে।
এই ব্লগে অন্তত 15 থেকে 20 টি ভালো মানের ইউনিক পোস্ট থাকতে হবে। শুরুতে আয় কম
হতে পারে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ট্রাফিক বাড়লে আপনার ইনকামও বাড়বে। অনেকে তো
ব্লগিং থেকে এই মাসে হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে। তবে ব্লগিং থেকে গুগল এডসেন্স এ
আয় করা সম্ভব, তবে রাতারাতি ধনী হবার পথ নয় এটা।
বরং এটা এক ধরনের ডিজিটাল সম্পদ তৈরি করা যেটা সময়ের সাথে আয় বৃদ্ধি করে। আপনি
যদি নিয়মিত কনটেন্ট দিতে থাকেন এবং ভিজিটরদের উপকারে আসে তাহলে পোস্ট করেন- আয়
শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। এছাড়াও আলোচনা করব গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার
উপায় সম্পর্কে তাই সাথে থাকুন।
গুগল ফোরাম সাইড থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
গুগল ফোরাম সাইড থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জানেন কি? অনেকেই ভাবেন গুগল ফোরাম
বা গুগল গ্রূপ দিয়ে কি সত্যি ইনকাম করা যায়? উত্তর হল হ্যাঁ সরাসরি টাকা দেয়
না ঠিকই কিন্তু আপনি চাইলে google ফোরামকে একটা উপকারী প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার
করে ইন্ডিরেক্ট ভাবে ভালোই আয় করতে পারেন। ভাবছেন কিভাবে? আসুন বুঝে নিয়ে যাক।
google groups হচ্ছে গুগলের তৈরি একটা ফোরাম সিস্টেম, যেখানে একই ধরনের মানুষ
একত্র হয়ে বিভিন্ন আলোচনা করতে পারে, প্রশ্ন করতে পারে, উত্তর দিতে পারে এবং একে
অপরকে সাহায্য করতে পারে। অনলাইন ইনকাম ফোরাম/ গুগল গ্রুপে কিভাবে কাজ করে টাকা
আয় করবেন চলুন তাহলে জানা যাক-
- কিভাবে google ফোরাম থেকে ইনকাম করবেন সংক্ষেপে জানা যাক
- গুগল গ্রুপস এ জয়েন করুন
- মানুষের প্রশ্নে উপকারী উত্তর দিন
- ধীরে ধীরে নিজের কনটেন্ট বা সার্ভিস এর লিংক শেয়ার করুন
- ট্রাফিক আনুন আপনার ব্লগ, ইউটিউবে
- এডসেন্স এফিলিয়েট বা কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করুন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম মানতেই হবে ( না হলে ব্যান হবেন)
- স্প্যাম করবেন না
- এক পোস্টে একাধিক লিংক দেবেন না
- শুধু লিংক নয় উপকার করুন
- মানুষকে সম্মান করুন
- নিজের গ্রুপ থাকলে সেটাকে গাইডলাইন অনুযায়ী চালান।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে গুগল ফোরাম হচ্ছে আয় করার একটা
ইনডাইরেক্ট কিন্তু শক্তিশালী পথ। এখানে কোন ইনভেস্ট করতে লাগে না, শুধু সময়,
কন্সিসটেন্সি, আর উপকার করার ইচ্ছা লাগে। আপনি যদি নিয়ম মেনে ভালোভাবে মানুষের
পাশে দাঁড়ান তাহলে গুগল ফোরাম আপনাকে শুধু আয় নই নাম আর সম্মান দুটোই দেবে।
গুগল ওয়ার্কস্পেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে আয়
গুগল ওয়ার্কস্পেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে আয়। অনলাইনে আয় করতে
চাইলেই মাথায় আসে বড়সড়ো ওয়েবসাইট, হাজার হাজার বিজ্ঞাপন, জটিল সফটওয়্যার।
কিন্তু আপনি জানেন কি? একটা সাধারন google ডকস পেজ দিয়েও আপনি আয় শুরু করতে
পারেন, একদম নিজের মত করে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে। গুগল ডক্স পেজ দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস বিক্রি করে ইনকাম করার ৭টি বাস্তব উপায়ে নিচে দেয়া হল-
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দ্রুত আয়ের পথ। আর এই যাত্রায়
আপনার সবচেয়ে সহজ, স্মার্ট এবং ফ্রি সঙ্গী হতে পারে গুগল ওয়ার্কস্পেস। অনেকেই
জানেন না এই একটি টুল দিয়ে আপনি নিজের সার্বিক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে আয় শুরু
করতে পারেন।
- গুগল ডক্স দিয়ে কি আসলে আই করা সম্ভবঃ গুগল ডক্স নিজে টাকা দেয় না কিন্তু এটাকে আপনি ব্যবহার করতে পারেন একটি ডিজিটাল সার্ভিস প্রেজেন্টেশন বা প্রোফাইল পেজ হিসেবে। ঠিক যেভাবে কেউ একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিজের সার্ভিস দেখাই আপনি সেভাবে গুগল ডক্স বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং পোর্টফলিও জন্য। এবং এই পেজ আপনি শেয়ার করতে পারবেন ক্লায়েন্টদের কাছে ফেসবুক গ্রুপে মার্কেটপ্লেস বা ইউটিউবে।
- গুগল সিট দিয়ে প্রাইজ লিস্ট বা ওয়ার্ক ট্র্যাকার বানানঃ আপনি কি কি সার্ভিস দেন প্রতি সার্ভিসের দাম কত? কাজ শুরু ও শেষের তারিখ, এবং ক্লাইন্টকে আপডেট দেন।
- গুগল স্লাইড দিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করুনঃ google স্লাইড দিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করে ক্লাইন্টকে ইমপ্রেস করুন। google স্লাইড এ আপনি নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন একদম ব্র্যান্ডের মতো করে।
- Google ফর্ম দিয়ে অর্ডার বা ক্লাইন্ট ইনফরমেশন সংগ্রহ করুন। যেমন
- আপনার ডিজাইন অর্ডার করতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন।
- ক্লায়েন্ট নেম, ইমেইল, রিকোয়ারমেন্ট।, সময়সীমা দিয়ে সাবমিট করবে।
- এতে আপনার কাজ সহজ হবে এবং প্রফেশনাল ইমেজ কোন কঠিন লাগবে না।
- গুগল মিট ব্যবহার করে ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভিডিও কনস্টাল্টেশন দিনঃ আজকাল অনেক ক্লায়েন্টই চাই সরাসরি কথা বলতে। এইজন্য আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও কলে প্রেজেন্টেশন দিতে পারেন।
- জিমেইল দিয়ে প্রফেশনাল ব্র্যান্ড ইমেইল চালু করুন। gmail এর মাধ্যমে আপনি নিজের ডোমেইনের নাম দিয়ে কাস্টম ইমেইল সেট করতে পারেন। যেমন (yourname@yourbrand.com) . এতে ক্লাইটের চোখে আপনি আরও প্রফেশনাল হবেন। এছাড়াও জিমেইলের সাথে লেবেল ফিল্টার ও অটো রিপ্লাই দিয়ে নিজের ইনবক্সেকে চমৎকার ভাবে সাজাতে পারবেন।
- গুগল ড্রাইভ দিয়ে আপনার কাজ স্টোর করুন ও ক্লাইন্টকে শেয়ার করুন। ক্লায়েন্ট এর কাজ শেষে আপনি যদি গুগল ড্রাইভ এ ফাইল রাখেন তাহলে শুধু একটি লিংক পাঠালেই চলে। আর এই ফাইল আপনি ইচ্ছা করলে এক্সপায়ার্ড বা রেস্ট্রিক্টেড করে দিতে পারেন। এভাবে ফ্রিল্যান্সিং সহজ করুন গুগল ওয়ার্ক স্পেস দিয়ে। মোবাইলেই ফ্রিল্যান্সিং করুন google টুলস দিয়ে ইনকামের পথ খুলুন।
প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে বড় অফিস, দামি সফটওয়্যার বা বিদেশি প্লাটফর্ম
এর দরকার নেই। আপনি যদি চতুরতা ও সৃজনশীলতার সাথে গুগল ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করেন
তাহলে মোবাইল বা ল্যাপটপ দিয়েই আপনি নিজে সার্ভিস বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
এই এক সেট টুল দিয়ে আপনি শুধু কাজ করবেন না ক্লাইন্টকেও মুগ্ধ
করবেন। এছাড়াও জানুন গুগল এডসেন্স এর কাজ কি গুগল এডসেন্স থেকে কত
টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তার ধারণা।
গুগল প্লে স্টোর এ অ্যাপ প্রকাশ করে আয় করার ধাপগুলো
গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ প্রকাশ করে আয় করুন। আমরা প্রতিদিনই হয়তো গুগল প্লে
স্টোরে গিয়ে নানান অ্যাপ ডাউনলোড করি। গেম শপিং, শিক্ষা, বিনোদন কি নেই এতে!
কিন্তু আপনি কি জানেন? এই অ্যাপগুলোর মালিকরা অনেকেই ঘরে বসে শুধু অ্যাপের
মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। হ্যাঁ, আপনি চাইলেও পারবেন।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় অন্যতম একটি হচ্ছে এই গুগল প্লে স্টোর
প্লাটফর্ম। ডেভলপাররা নিজেদের তৈরি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে সাবস্ক্রিপশন বা পেইড
ভার্সন হিসেবে আপলোড করে ইনকাম করেন। এর জন্য $২৫ ফি দিয়ে একটি ডেভলপার একাউন্ট
খুলতে হয়। শুধু ভাবলেই হবে না শুরু করতে হবে। প্লে স্টোরে অ্যাপ দিয়ে আয় করা
সত্যিই সম্ভব, যদি আপনি মন দিয়ে ভালো কিছু তৈরি করেন।
একবার সঠিকভাবে শুরু করলে একটা ছোট অ্যাপও আপনাকে মাসে হাজার হাজার টাকা এনে দিতে
পারে। আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজের একটা অ্যাপ থাকা মানে শুধু পরিচিতি নয় বরং
আয়ের এক বিশাল সুযোগ। বিশেষ করে যদি আপনি আপনার অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে প্রকাশ
করেন তাহলে আপনি মাসে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং সেইসঙ্গে আয় ও
করতে পারবেন।
আজকের দিনে শুধু ফেসবুক ইন্সটল না করে আপনি যদি একটা ছোট্ট অ্যাপ নিয়ে কাজ
করেন তাহলে সেটা হতে পারে আপনার জীবনের একটা বড় ইনকামের পথ। গুগল প্লে স্টোরে
অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ আয় করতে পারে শুধু দরকার একটু ধৈর্য আর সঠিক দিক
নির্দেশনা। তাই শুরুটা হোক আজই। কারণ অনেকেই শুরু না করে শুধু ভাবতে ভাবতে বছর
পার করে ফেলে।
গুগল অপিনিয়ন রিউওয়ার্ড /মোবাইল থেকে ছোটখাটো ইনকাম
গুগল অপিনিয়ন রিউওয়ার্ড মোবাইল অ্যাপ থেকে ক্ষুদ্র আয়। আজকাল আপনি
হয়তো মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চান কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপ খুঁজে পান না? সেই
জায়গায় গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ড হতে পারে আপনার ইনকামের একেবারে
নির্ভরযোগ্য ও সরল পথ। কারণ এটি গুগলের নিজস্ব অ্যাপ তাই প্রতারণার কোন প্রশ্নই
আসে না।
গুগল অপিনিয়ন রিওয়ার্ডস হল গুগলের তৈরি একটি রিওয়ার্ড অ্যাপ। যেখানে আপনি
ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনাকে জিজ্ঞাসা
করা হতে পারে আপনি সম্প্রতি কোন স্টোরে গিয়েছিলেন? কোন ধরনের বিজ্ঞাপন
আপনার ভালো লেগেছে? আপনি কি কোন পণ্যের নাম শুনেছেন? ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এই
ইনকাম করতে-
- এজন্য আপনি প্রথমে google এর অফিশিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করুন জিমেইল দিয়ে সাইন ইন করে প্রোফাইল সেট করুন। অপেক্ষা করুন সার্ভে পাওয়ার জন্য।
গুগল কিভাবে আপনাকে টাকা দেয়?
- আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য $0.10 থেকে $1.00 পর্যন্ত পেতে পারেন। সার্ভে সাধারণত ১ থেকে ৫ টি প্রশ্ন নিয়ে গঠিত হয় যা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ করা যায়। বাংলাদেশে যেহেতু ডলার ক্যাশ করা যায় না তাই সরাসরি আপনি ইনকাম করতে পারেন গুগল প্লে ক্রেডিট আকারে। যেটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন গেমে, কয়েন কেনার জন্য, অ্যাপ বা বুক কিনতে, google প্লে মুভি থেকে মুভি ভাড়ায়, ইন অ্যাপ পার্সেল পারচেজে।
এটি গুগলের নিজস্ব অ্যাপ দেখে বিভিন্ন জরিপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি google প্লে
ক্রেডিট বা নগদ অর্থ পেতে পারেন। যদিও বড় অঙ্কের আয় হয় না, তবে সহজে
ব্যবহারযোগ্য। তাই আপনারা যারা
গেম খেলায় ব্যস্ত থাকেন শুধুমাত্র গেম খেলেই নয় বরং এখন থেকে প্রশ্নের উত্তর দিয়েও আয়
করুন। অনেকেই মোবাইল ঘাঁটেন কিন্তু তার থেকে কিছু উপকারী পান না।
google অপিনিয়ন রিওয়ার্ড হচ্ছে এমন একটি অ্যাপ যা আপনি এক হাতে চালাতে পারেন
সময়ও লাগে না, আবার একটু একটু করে ইনকাম হয়। যারা গেম খেলেন গুগল ডক্স পড়েন বা
অ্যাপ কিনতে চান তাদের জন্য এই ইনকাম খুবই কার্যকরী। আর সবচেয়ে ভালো কথা হচ্ছে
এটা গুগলের অ্যাপ, কোন স্ক্যাম নয়।
গুগল এআই টুলস ও মেশিন লার্নিং দিয়ে ইনকামের নতুন দিক
গুগল এআই টুলস ও মেশিন লার্নিং দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়। আজকের বিশ্বে আর
কেবল চাকরি নয়, প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজে কিছু করার সময় এসেছে। আর সেই
প্রযুক্তির শীর্ষে আছে এ আই। এবং মেশিন লার্নিং। যেগুলো দিয়ে আপনি গুগলের
সাহায্যে আয় করতে পারেন সেটাও ঘরে বসেই। গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয় এআই এবং
মেশিন লার্নিং নিয়ে অসাধারণ কিছু টুলস দিয়েছে।
যেগুলো আপনি আয় করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন কোনরকম কোডিং জ্ঞান না
থাকলেও। তাহলে চলুন গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার পাই এর অন্যতম মাধ্যম গুগল এ
আই টুলস ও মেসি লার্নিং দিয়ে কিভাবে ইনকামের নতুন পথ খুলবেন দেখা যাক-
- Google Bard জিমিনি দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে ব্লক বা ক্লাইন্টকে দিন।
- Teachable মেশিন দিয়ে নিজস্ব অ্যাপ বানিয়ে গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করুন। কোড না জানলেও মেশিন লার্নিং অ্যাপ বানানো সম্ভব। এই অ্যাপ থেকে ইনকাম হবে বিজ্ঞাপন বা প্রিমিয়াম টিচারের মাধ্যমে।
- Google Colab দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করুন। পাইথনের ডেটা এনালাইসিস বা মিশন লার্নিং প্রজেক্ট রান করে ক্লায়েন্টের কাজ করুন।
- এআই টুল দিয়ে টিউটোরিয়াল ভিডিও বা কনটেন্ট বানিয়ে ইউটিউব বা ব্লক থেকে ইনকাম করুন।
এআই এবং মেশিন লার্নিং এখন আর শুধুমাত্র সাইন্স ফিকশননে সীমাবদ্ধ নেই। আপনি চাইলে
আজ থেকে এই কোর্স দিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন। গুগল আপনার হাতে এক ঝুড়ি ফ্রী
টুল দিয়ে রেখেছে। যেগুলো দিয়ে আপনি কাজ শিখে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু
দরকার ধৈর্য আর একবার চেষ্টা করার ইচ্ছা। এছাড়াও জানুন গুগল এডসেন্স
থেকে আয় করার উপায় সমূহ।
গুগল সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
গুগল সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে নিন। আজকাল স্মার্টফোন হাতে থাকলেই
অনেক কিছু সম্ভব। গেম খেলার ফাঁকে বা ইউটিউব দেখার সময় যদি একটা প্রশ্নের উত্তর
দিয়ে আপনি টাকা আয় করতে পারেন কেমন হবে? আর এখন এটাই করে দিচ্ছে গুগল
অপিনিয়ন রিওয়ার্ড। এটি গুগলের নিজস্ব একটি অ্যাপ যেখানে ব্যবহারকারীকে ছোট ছোট
জরিপ বা সার্ভে অথবা প্রশ্নের উত্তর দিলেই পুরস্কার হিসেবে টাকা দেয়।
এজন্য আপনি অ্যাপ ডাউনলোড করে একাউন্ট সেটআপ করুন। সার্ভে এলে নোটিফিকেশন পাবেন।
প্রতি সারভেতে সময় লাগে ২০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত। এবং প্রত্যেকটা
সার্ভের জন্য আপনি পেতে পারেন ০.০১-১ ডলার পর্যন্ত। ( দেশ ভেদে পরিবর্তন হয়
)
- টাকা কিভাবে পাবেন?
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যঃ এই ইনকামটা গুগল প্লে ক্রেডিট হিসেবে জমা
হয়। আপনি তা দিয়ে গেম, অ্যাপ, বুক, মুভি কিনতে পারবেন।
ios বা কিছু দেশেঃ ইনকাম সরাসরি PayPal পেয়ে যায় যেটা আপনি ক্যাশ আউট করতে
পারেন।
গুগল সার্ভে দিয়ে হয়তো লাখপতি হওয়া যাবে না, কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে
আপনি নিজের মোবাইল খরচ, অ্যাপ খরচ বা
গেমের ডায়মন্ড গোল্ড
উঠিয়ে ফেলতে পারবেন। এই জন্য আপনি বিনামূল্যে ইন্সটল করুন, প্রোফাইল ঠিকভাবে দিন
এবং মোবাইল ব্যবহার করলেই গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় এর মাধ্যমে ধীরে
ধীরে আয় শুরু করুন।
গুগল ম্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
গুগল ম্যাপ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় জানেন কি? আমরা অনেকেই প্রতিদিন গুগল
ম্যাপ ব্যবহার করি। হয়তো কোথাও যেতে, রাস্তা খুঁজতে অথবা কোন দোকান খুঁজে
বের করতে। কিন্তু আপনি কি জানেন? শুধু গুগল ম্যাপ ব্যবহার করেই আপনি আয় করতে
পারেন? গুগল ম্যাপস এর লোকাল গাইড প্রোগ্রাম ও কিছু স্মার্ট কৌশল কাজে লাগিয়ে
আপনি উপার্জনের পথ তৈরি করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স থেকে আই করার উপায় জানার আগে এখন জানাবো কিভাবে গুগল ম্যাপ থেকে
টাকা ইনকাম করা যায়, কিভাবে শুরু করবেন এবং বাস্তবে এই ইনকাম কিভাবে কাজ করে-
- লোকাল গাইড প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে অবদান রাখুনঃ গুগলের লোকাল গাইড হলো একটি গ্লোবাল প্রোগ্রাম। যেখানে আপনি গুগল ম্যাপে নতুন তথ্য যোগ করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন। যেমন-
- রিভিউ লেখা
- ছবি বা ভিডিও আপলোড করা
- নতুন স্থানে যুক্ত করা
- ভুল ঠিকানা ঠিক করা
- প্রশ্নের উত্তর দেয়া
আর এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং, লোকাল গাইড ট্রেইনার অথবা
ভেরিফায়েড কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও আয় করতে পারেন।
- গুগল ম্যাপ সার্ভিস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করুনঃ আপনি যদি ম্যাপ ব্যবহারে দক্ষ হন তাহলে ছোট বিজনেসের জন্য নিজের সেবা দিতে পারেন-
- গুগল বিজনেস প্রোফাইল সেটআপ
- গুগল ম্যাপে দোকান বিজনেস যুক্ত করা
- লোকেশন ইসইও সেটআপ
- ছবি/ রিভিউ অপটিমাইজ করা।
ফাইবার আপঅয়ার্ক এ এই ধরনের কাজের চাহিদা ভালই আছে।
- Google map contribution youtube বা ব্লগে শেয়ার করুনঃ আপনার গুগল ম্যাপে অবদান রাখার অভিজ্ঞতা বা লোকাল গাইড হিসেবে কাজ করার গল্প যদি আপনি ভিডিও বা ব্লগে তুলে ধরেন তাহলে সেখান থেকেও ইনকাম করা সম্ভব।
- youtube মনিটাইজেশন
- ব্লক এডসেন্স বা এফিলিয়েট ইনকাম
- গুগল ম্যাপ এপিআই দিয়ে অ্যাপ/ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়ঃ যদি আপনি কিছুটা প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে গুগল ম্যাপস এপিআই ব্যবহার করে অ্যাপ বানাতে পারেন। এই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বিক্রি করে অথবা বিজ্ঞাপন/ সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। যেমন-
- লোকেশন ভিত্তিক অ্যাপ ( যেমন কাছের রেস্টুরেন্ট দেখাও)
- রিয়েল টাইম ডেলিভারি ট্র্যাকিং অ্যাপ
- ট্যুর গাইড অ্যাপ
অনেকেই ভাবে গুগল ম্যাপে কাজ করে টাকা কিভাবে আসবে? বাস্তবে এটা ধৈর্য ও
সৃজনশীলতার খেলা। আপনি যদি ভালো কন্ট্রিবিউটর হন গুগলের চোখে আপনার প্রোফাইলের
গুরুত্ব বাড়ে। আপনি তখন শুধু পয়েন্টইনার রিয়েল ইনকামের পথ তৈরি করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনার ইউটিউব বা ব্যবসার মাধ্যমে। গুগল ম্যাপ শুধু রাস্তা
দেখায় না সঠিক পথে আয় করতেও শেখায়।
গুগল ডকস/সিটস টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি
গুগল ডকস/সিটস টেমপ্লেট তৈরি করে ইনকাম করার সহজ ও বাস্তব উপায় নিচে দেয়া হল -
বর্তমানে অনলাইন ইনকামের দুনিয়ায় গুগল ডক্স ও google সিট টেমপ্লেট তৈরি করে
বিক্রি করা একটি চমৎকার উপায়। বিশেষ করে আপনি যদি কিছুটা ডিজাইন বা প্রেজেন্টেশন
বোঝেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। গুগল ডকস সিটস টেমপ্লেট মানে এমন
কিছু সাজানো ফাইল যা মানুষ, অফিস, পার্সোনাল বা স্টুডেন্ট কাজের জন্য বারবার
ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় যেমন-
- Resume/ CV
- Invoice
- Budget tracker
- Project planner
- Time table
- business proposal
- Daily planner
- Social media calender
মানুষ অনেক সময় সময় বাঁচাতে এবং ঝামেলায এড়াতে এই ধরনের সাজানো টেমপ্লেট কিনে
নেয়। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই টেমপ্লেট বিক্রি করে আয় করতে পারেন। আপনি
যদি প্রতিদিন একটি টেমপ্লেট বিক্রি করেন $5 দামে তাহলে মাসে 30*5= $150 ইনকাম আর
যদি ভালো এসইও করেন বা Estyতে রেটিং বেড়ে যায়। তাহলে প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশটাও
বিক্রি করা সম্ভব। তাই গুগল ডক্স ও সিটস টেমপ্লেট বানিয়ে ঘরে বসেই আয় করুন।
কিছু বাস্তব টিপস-
- বেশি কিছুর দরকার নেই, শুধু একটি সাজানো ও কাজের ফরমেট হলেই মানুষ কিনবে।
- শুরুতে ফ্রি একটা ট্যাবলেট দিয়ে মানুষকে ট্রাস্ট করান।
- সুন্দর প্রিভিউ ছবি আর টেমপ্লেট গাইড দিলে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
- প্রতিদিন একটি নতুন টেমপ্লেট পোস্ট করুন।
আমরা অনেকেই এটি ব্যবহার করি, কিন্তু কম মানুষ এটাকে ইনকামের উৎস বানাতে পারে।
তাই আপনি যদি একটু পরিশ্রম করেন তাহলে খুব সহজে এই ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করে
বিক্রি করতে পারবেন। সেটাও ঘরে বসে নিজের মোবাইল বা ল্যাপটপ দিয়ে। কোড জানা
লাগবে না, কোন বড় খরচ নেই, শুধু দরকার একটু ক্রিয়েটিভ চিন্তা আর নিয়মিত
চেষ্টা। আশা করছি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল ডক্স/ সিটস টেমপ্লেট তৈরি করে
সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে কিভাবে গুগল থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
গুগল পে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
গুগল পে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জানেন কি? Google পে তে অনেকেই শুধু টাকা
পাঠানোর বা বিল পরিশোধের অ্যাপ হিসেবে জানে কিন্তু জানেন কি? এই অ্যাপ
দিয়েই আপনি চাইলে ঘরে বসে বৈধ ও বাস্তব উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কিভাবে
চলুন জেনে নেই-
গুগল পে রেফারেল প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে ইনকামঃ গুগল পে নতুন ইউজার আনার জন্য
রেফারেল বোনাস দেয়। আপনার রেফারেল লিংক বা কোড ব্যবহার করে কেউ যদি আপ করে এবং
একটি লেনদেন করে তাহলে আপনি এবং নতুন ইউজার দুজনেই বোনাস পাবেন। বাংলাদেশ বা
ভারতীয় মার্কেটের ক্ষেত্রেঃ
- একজন ইউজার আনলে ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস নিতে পারে।
- মাঝে মাঝে বিশেষ অফারে ১০০০+ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয়।
Google পে টেক্সট অফার ক্যাম্পেইন থেকে আয়ঃ গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় হল- গুগল পে তে মাঝে মাঝে কিছু টাক্স বা
অফার দেয় যেমন-
- নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লেনদেন করলে ক্যাশব্যাক
- প্রথমবার বিল পেমেন্টে বোনাস
- অ্যাপ রিচার্জ বা শপিং এ ডিসকাউন্ট
Google পে ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্স পেমেন্ট গ্রহণ করুনঃ আপনি যদি ভারতে থাকেন বা
বিদেশে ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করেন তাহলে গুগল প্লে ব্যবহার করে পেমেন্ট রিসিভ
করতে পারেন। যে ক্লায়েন্ট গুগল পে ইউজ করে সেখান থেকে সরাসরি টাকা নিতে পারবেন।
- নোটঃ বাংলাদেশে এই ফিচার সীমিত কিন্তু ভারত বা বিদেশে এটি অনেক জনপ্রিয়।
লোকাল বিজনেস বা দোকানদারদের google পে সেটআপ করে দিয়ে কমিশন নিনঃ এটা একটু
ভিন্ন ধরনের আয় কিন্তু একেবারে বাস্তব- আপনার এলাকার দোকানদার বা ব্যবসায়ী যারা
এখনো google পে ব্যবহার করেন না আপনি তাদের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে পারেন।
রেফারেল বোনাস + সাপোর্ট সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন।
গুগল পে শুধু লেনদেনের অ্যাপ না বরং এটা হতে পারে আপনার ইনকামের একটা ছোট অথচ
নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। আপনি যদি একটু চালাক হন নিয়মিত অফার আর রেফারেল ব্যবহার
করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে 500 থেকে 2000 টাকা পর্যন্ত ঘরে বসে ইনকাম করা
সম্ভব। একবার শুরু করে দেখুন ধীরে ধীরে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন কোন টেকনিকটা আপনার
জন্য বেস্ট।
গুগল অ্যাডমব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
গুগল অ্যাডমব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়। আজকাল স্মার্টফোনে হাজার হাজার অ্যাপ
চলছে। আপনি কি জানেন, এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করেই ডেভেলপার টাকা ইনকাম করছে? তারা
ইনকাম করছে গুগলের একটি বিজ্ঞাপন সিস্টেম গুগল অ্যাডমব ব্যবহার করে। এই কনটেন্ট
আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনি গুগল এডমব ব্যবহার করে ঘরে বসে ইনকাম করতে
পারবেন।
আপনার যদি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার দক্ষতা থাকে, তাহলে অ্যাডমব ব্যবহার করে সেই
অ্যাপ বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে পারেন। গুগল অ্যাডমব হলো গুগলের একটি প্ল্যাটফর্ম
যা অ্যাপের ভিতরে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অ্যাপ ডেভলপারদের ইনকাম করতে সাহায্য করে। যে
অ্যাপ আপনি প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের দেন তাতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করলে যখনই কেউ
বিজ্ঞাপন দেখবে বা ক্লিক করবে তখন আপনি ইনকাম পাবেন।
অ্যাপ বানানোর জন্য কোডিং না জানলেও চলবে। নিচের টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি
অ্যাপ বানাতে পারবেন যেমন-
- Kodular
- Thunkable
- Appgyver / Glide
এক হাজার বিজ্ঞাপন ভিউ থেকে আপনি $1 থেকে $5 পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। এবং
স্মার্ট অ্যাপ বানিয়ে প্রতি মাসে $100-$1000 পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। শুধুমাত্র
কনটেন্ট পড়ে রেখে দিলে আয় হবে না আপনি যদি একটাও সহজে অ্যাপ বানান মানুষের দরকার
মত কিছু দেন- যেমন ক্যালেন্ডার, নামাজ টাইম বা বাংলা কুইজ- তাহলে সেই অ্যাপ এ
বিজ্ঞাপন বসিয়ে গুগল অ্যাডমব দিয়ে আপনি প্রতিদিন আয় করতে পারবেন। শুরুতে ইনকাম
হয়তো কম হবে কিন্তু একবার অ্যাপ র্যাঙ্ক করলে তা অনেক দিন চলবে।
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়। আজকাল অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করতে চাই, কিন্তু
কিভাবে শুরু করবে তা জানেনা। যদি আপনি লিখতে পারেন বা একটা ওয়েবসাইট ব্লক খুলতে
পারেন তাহলে গুগল এডসেন্স আপনার জন্য হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও সৎ ইনকামের পথ। গুগল
এডসেন্স কিভাবে কাজ করে, গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা
যায়, গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব SEO সহ কিছু গোপন
টিপস এখন আলোচনা করব।
- গুগল এডসেন্স কি?
গুগল এডসেন্স হচ্ছে গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম যা আপনি আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট
ইউটিউব চ্যানেল বা অ্যাপে ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। যখনই কেউ আপনার সাইটে আসে
এবং সেখানে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন দেখে বা ক্লিক করে আপনি ইনকাম পান। অনলাইনে আয়ের
ক্ষেত্রে গুগলের প্রথম ও অন্যতম বিশ্বস্ত মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স।
আপনি যদি একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লক তৈরি করেন এবং সেখানে নিয়মিত মানসম্মত
কনটেন্ট প্রকাশ করেন তাহলে সহজেই এডসেন্সের অনুমোদন নিতে পারবেন। একবার এডসেন্স
যুক্ত হলে আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের দেখানো বিজ্ঞাপন থেকেই আপনি অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর পদ্ধতি গুলোর
একটি। তবে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট থাকলেই চলবে না এসইও, কন্টেন্ট মার্কেটিং ও
ট্রাফিক বাড়ানোর কৌশল সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা জরুরী।
এডসেন্স থেকে কত ইনকাম সম্ভব?
ইনকাম নির্ভর করে-
ইনকাম নির্ভর করে-
- আপনার সাইটে কতজন আসছে
- বিজ্ঞাপন কতবার দেখা হচ্ছে (Impression)
- কতজন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে (CTR)
- প্রায় হিসাব মতে,
- 1000 ভিজিটর থেকে $1-$10 পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব।
- ভালো ট্রাফিক থাকলে মাসে $100-$1000+ ইনকাম করা যায়।
গুগল এডসেন্স দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে ধৈর্য নিয়মিত কাজ আর ভালো মানের কনটেন্ট
এই তিনটি সবচেয়ে বড় শক্তি। শুরুটা হয়তো ধীরগতির হবে কিন্তু একবার যখন গুগল
আপনাকে বিশ্বাস করবে তখনই আপনার ইনকামের পথ খুলে যাবে। এইজন্য নিজের ভাষায়
লেখুন, নিজের মত গাইড তৈরি করুন তাহলে ইনকাম হবে আরো সহজ ও স্থায়ী।
আপনি যদি অনলাইনে সৎভাবে ইনকাম করতে চান যদি কাউকে না ঠকিয়ে বরং সাহায্য করে আয়
করতে চান- তাহলে গুগল এডসেন্স হতে পারে আপনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী। লাখো
মানুষ এটাকে শুধু ইনকামের উৎস নয়, বরং জীবনের নতুন পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। আপনিও
শুরু করুন আজই। গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়, সাথে গুগল এডসেন্স
থেকে আয় করার উপায় নিয়ে আশা করছি বিস্তার ধারণা পেয়েছেন।
এত লক্ষ লক্ষ মানুষ এডসেন্স কেন ব্যবহার করে জানুন
এত লক্ষ লক্ষ মানুষ এডসেন্স কেন ব্যবহার করে আসুন সহজ ভাবে বুঝে নেই? ইন্টারনেটে
আপনি যে ওয়েবসাইট গুলো পড়েন, ইউটিউবে ভিডিও দেখেন বা অ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায়
সবখানেই আপনি ছোট ছোট বিজ্ঞাপন দেখতে পান তাই না? এই বিজ্ঞাপন গুলোই হল google
এডসেন্স এর জাদু। লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশেষ করে কনটেন্ট ক্রিয়েট্ ব্লগার,
ইউটিউবার, ও অ্যাপ ডেভেলপার এই একটি মাধ্যম দিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম
করছে।
তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে - এত মানুষ কেন এডসেন্স ব্যবহার করে? অন্য কিছু না করে
এটাতে কেন আস্থা রাখে? চলুন তাহলে বিস্তারিত যারা যাক-
- গুগলের উপর মানুষের ভরসা থাকেঃ গুগল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্বস্ত কোম্পানী গুলোর একটি। মানুষ জানে google কারো টাকা মারে না। টাকা দিতে দেরি করে না এবং বিশ্বাসের জায়গায় আপোষ করে না। এডসেন্স যেহেতু গুগলের তাই মানুষ চোখ বন্ধ করে এটাই বেছে নেয়।
- বিনামূল্যে শুরু করা যায়ঃ এডসেন্স ব্যবহার করতে কোন টাকা লাগে না। আপনার একটা ব্লগ ইউটিউব চ্যানেল বা অ্যাপ থাকলেই আপনি ফ্রিতে এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। যেখানে অনেক অ্যাফিলিয়েট বা মার্কেটিং সাইটে টাকা লাগতে পারে সেখানে এডসেন্স একদম ফ্রি।
- নিয়মিত ও স্বচ্ছ আয় পাওয়া যায়ঃ গুগল প্রতিমাসে নিয়ম মাফিক পেমেন্ট দেয়। ১০০ ডলার হলেই সরাসরি ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এখানে ফাঁকি বা জটিলতার কোন সুযোগ নেই। মানুষ বিশ্বাস করে যতটুকু ট্রাফিক ততটুকু ইনকাম এখানে ছলনার কিছু নেই।
- যে কোন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্যঃ এডসেন্স শুধুমাত্র ব্লগ বা ওয়েবসাইটে সীমাবদ্ধ না। মানুষ এখন বিভিন্ন মাধ্যম যেমন youtube ভিডিওতে, মোবাইল অ্যাপে, ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে, নিউজ সাইট ম্যাগাজিন, পোর্টাল ইত্যাদিতে একটা অ্যাকাউন্ট দিয়েই আপনি একাধিক জায়গা থেকে ইনকাম করতে পারেন। এই ফ্লেক্সিবিলিটি অনেকেরই পছন্দ।
- প্যাসিভ ইনকামের সুযোগঃ এখানে আপনি একবার কনটেস্ট তৈরি করলে সেটি বছরের পর বছর চলতে পারে। ধরুন আপনি আজ একটি ব্লগ লিখে বা একটি ইউটিউব ভিডিও করলেন- তা যদি চলে তবে প্রতিদিনই মানুষ সেটা দেখবে এবং আপনি বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম পাবেন। এই জন্যই অনেকে এটিকে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয় বলে।
- নতুনদের জন্য উপযুক্ত এবং শেখার মাধ্যমঃ নতুন যারা অনলাইন ইনকাম শুরু করতে চায় তাদের জন্য গুগল এডসেন্স হচ্ছে আদর্শ। এর মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করা যায়, শেখা যায়, SEO বোঝে, অনলাইন মার্কেটিং এর অভিজ্ঞতা হয়, ভবিষ্যতে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা সহজ হয়। আশা করছি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এবং কেন এত লক্ষ লক্ষ মানুষ এই এডসেন্স ব্যবহার করে।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স এর কাজ কি?
উত্তরঃ গুগল এডসেন্স হচ্ছে গুগলের একটা ফ্রী প্লাটফর্ম। যেটা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব
চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে সাহায্য করে। গুগল এডসেন্স মূলত আপনার
কনটেন্টে যখন কেউ আসে, লেখা বা ভিডিও দেখে তখন google সেখানে বিজ্ঞাপন দেখায়।
লোকজন সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে বা দেখে রাখলে আপনি তার বিনিময়ে টাকা পেতে
পারেন। গুগল আপনাকে প্রতি ক্লিক বা ভিউয়ের জন্য টাকা দিবে এভাবেই মূলত গুগল কাজ
করে।
প্রশ্নঃ গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় কি?
উত্তরঃ গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে একটা ব্লগ, ওয়েবসাইট
বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা। এবং ভিজিটর বা দর্শক
বাড়ানোর চেষ্টা করা। ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে যদি ভাল ভিজিটর আসে তাহলে
এডসেন্স একাউন্ট খুলে আবেদন করুন। google আপনার কনটেন্টে বিজ্ঞাপন দেখাবে দর্শক
যখন বিজ্ঞাপন দেখে বা তাতে ক্লিক করে তখন আপনি টাকা পাবেন এবং ১০০ ডলার হলে সেই
টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি চলে আসবে। ধৈর্য, মানসম্মত কনটেন্ট, আর
নিয়মিত কাজে এডসেন্স ইনকামের মূল চাবিকাঠি।
প্রশ্নঃ গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় হয়?
উত্তরঃ গুগল এডসেন্স এ কত টাকা আয় হবে তা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের কনটেন্ট
দিচ্ছেন, কত মানুষ আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব ভিডিও দেখছে আর কোন দেশ থেকে ভিউ
আসছে তার উপর-
- বাংলাদেশ/ভারতের ট্রাফিকঃ প্রতি এক হাজার ভিউতে প্রায় $0.2 - $1 ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
- ইউএস/ইউরোপ ট্রাফিকঃ প্রতি এক হাজার ভিউতে দুই থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।
সুতরাং আয় পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার কনটেন্ট, ভিজিটর সংখ্যা, ক্লিক রেট আর
কিসের বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে তার ওপর।
প্রশ্নঃ গুগল এডসেন্স এ পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি?
উত্তরঃ গুগল এডসেন্স থেকে পেমেন্ট নেওয়ার পদ্ধতি হচ্ছে প্রথমে আপনি এডসেন্স
একাউন্টে লগইন করুন। সেখানে আপনার আয় কত হয়েছে তা দেখতে পারবেন। পেমেন্ট
থ্রেশহোল্ড পূরণ করুন। আপনার আয় ১০০ মার্কিন ডলার বা তার সমান না হলে গুগল টাকা
পাঠাবে না। পেমেন্ট মেথড সেট করুন। এক্ষেত্রে আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের
যেকোনো বৈধ ব্যাংকের তথ্য দিতে পারবেন। গুগল আপনার ঠিকানায় একটি পিন কোড চিঠির
মাধ্যমে পাঠাবে। সেটা আপনার অ্যাকাউন্টে দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। গুগল প্রতিমাসের
২১ তারিখের পর আপনার পেমেন্ট ছাড়বে। সাধারণত ৩থেকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে
টাকা ব্যাংকে চলে আসে।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় আমার নিজস্ব অভিমত
আজকের আর্টিকেলে গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে, গুগল
কিভাবে উপার্জন করে, ব্লগ তৈরি করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার উপায়, গুগল
ফোরাম সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়, গুগল ওয়ার্কস্পেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
সার্ভিস বিক্রি করে আয়। গুগল প্লে স্টোর এ অ্যাপ প্রকাশ করে আয় করার ধাপগুলো,
গুগল অপিনিয়ন রিউওয়ার্ড/মোবাইল থেকে ছোটখাটো ইনকাম এছাড়াও
গুগল এআই টুলস ও মেশিন লার্নিং দিয়ে ইনকামের নতুন দিক, গুগল সার্ভে থেকে টাকা
ইনকাম করার উপায়, গুগল ম্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়, গুগল ডকস/সিটস
টেমপ্লেট তৈরি করে বিক্রি, গুগল পে থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়, গুগল অ্যাডমব
থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়, গুগল এডসেন্স কি গুগল এডসেন্স এর কাজ কি গুগল
এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা
করেছি।
গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে উপরের বর্ণিত প্রতিটি পদ্ধতি অত্যন্ত
কার্যকর ও প্রমাণিত। আপনি চাইলে এক বা একাধিক পদ্ধতি একসঙ্গে ব্যবহার করে অনলাইন
ইনকাম শুরু করতে পারেন। ধৈর্য পরিকল্পনা ও মান সম্পন্ন কনটেন্টই আপনাকে গুগলের
মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ দেখাবে। গুগলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আয় করা এখন
সবার জন্য সম্ভব। আপনাকে শুধু একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন মাধ্যমটা আপনার জন্য
সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। আপনি চাইলে একসাথে একাধিক মাধ্যমেও চেষ্টা করতে পারেন।
মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url