আমি এখন কোথায় আছি? মাত্র ১ ক্লিকেই নিজের লোকেশন দেখুন এখুনি
নতুন জায়গায় ঘুরতে গেছেন বা কোনো কাজের জন্য বেরিয়েছেন? আনন্দের মাঝেই হঠাৎ মনে
হতে পারে – “আমি এখন কোথায় আছি?”, “এই জায়গার নাম কী?”, “আমি কি এখন কোন গ্রামে
আছি নাকি শহরে?” – এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। চিন্তার কিছু নেই! গুগল
ম্যাপের সাহায্যে খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার বর্তমান লোকেশন, কাছাকাছি এলাকা,
এমনকি এই জায়গার সঠিক নামও।
আপনাদের সুবিধার জন্য মাল্টিম্যাক্স আইটি নিয়ে এসেছে গুগল ম্যাপ ব্যবহারের
সম্পূর্ণ গাইড। এখানে পাবেন সব প্রশ্নের উত্তর – আমার লোকেশন কোথায় এখন? রোড
ম্যাপ লোকেশন কি? আমি এখন কোন গ্রামে আছি ? গুগল ম্যাপে কিভাবে নিজের সঠিক লোকেশন
খুঁজে পাব? তাহলে আর দেরি কেন! আপনার মনের সব প্রশ্নের উত্তর জানতে এখনই পুরো
পোস্টটি পড়ে ফেলুন এবং গুগল ম্যাপ ব্যবহার করা হয়ে উঠুক আরও সহজ ও মজার!
পোস্ট সূচিপত্রঃ আমার লোকেশন কোথায় এখন/ রোড ম্যাপ লোকেশন
- গুগল ম্যাপ এর ব্যবহার জানুন
- আমার লোকেশন কোথায় এখন/ আমি এখন কোথায় আছি
- গুগল ম্যাপে লোকেশন এড করার নিয়ম
- গুগল ম্যাপ এর মাধ্যমে নিজের লোকেশন কিভাবে বের করতে হয়
- আমি এখন কোন গ্রামে আছি
- গুগল ম্যাপ লোকেশন কিভাবে শেয়ার করতে হয়
- রোড ম্যাপ লোকেশন কি
- গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক
- আমার লোকেশন কোথায় এখন সে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
- আমার লোকেশন কোথায় এখন সে সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত
গুগল ম্যাপ এর ব্যবহার
গুগল ম্যাপ এর ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানে না। আজকের ডিজিটাল যুগে গুগল ম্যাপ
আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। নতুন জায়গায় ভ্রমণ, অফিসের পথ
খোঁজা বা আশেপাশের দোকান খুঁজে বের করা—সবকিছুতেই গুগল ম্যাপ এখন আমাদের
সবচেয়ে বড় সহায়ক। এই আর্টিকেলে আমরা সহজ ভাষায় জানাব গুগল ম্যাপের বিভিন্ন
ব্যবহার, যাতে আপনিও এই অ্যাপটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারেন।
গুগল ম্যাপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিচার হলো বর্তমান লোকেশন দেখা। আপনার ফোনের GPS
চালু করে অ্যাপটি খুললেই একটি নীল বিন্দুর মাধ্যমে আপনার অবস্থান ম্যাপে দেখা
যাবে। এতে সহজেই বোঝা যায় আপনি কোন এলাকায় আছেন এবং আশেপাশে কী কী আছে। এটি
বিশেষভাবে কাজে আসে নতুন জায়গায় গেলে বা অচেনা কোনো স্থানে হারিয়ে গেলে।
আপনি যদি কোনো নতুন গন্তব্যে যেতে চান, গুগল ম্যাপ আপনার জন্য সঠিক এবং দ্রুততম
পথ খুঁজে দেবে। সার্চ বারে গন্তব্যের নাম লিখলেই ম্যাপ আপনাকে নীল লাইনে
শর্টকাট রুট দেখাবে এবং ধূসর রঙে বিকল্প রুটও প্রদর্শিত হবে। গাড়ি, বাইক, বাস
বা হেঁটে যাওয়ার জন্য আলাদা রুটও দেওয়া থাকে, যাতে আপনার সুবিধামতো যাতায়াত
করতে পারেন।
গুগল ম্যাপ শুধু রুট দেখায় না, এটি আশেপাশের দরকারি স্থানও খুঁজে দেয়। আপনি
রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ব্যাংক, এটিএম, পেট্রোল পাম্প বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
জায়গার তথ্য খুব সহজেই জানতে পারবেন। কেবল সার্চ বারে নাম লিখলেই ম্যাপ আপনার
কাছে কাছাকাছি সব অপশন দেখিয়ে দেবে। নিরাপত্তা বা সুবিধার কারণে প্রিয়জনদের
সঙ্গে লাইভ লোকেশন শেয়ার করাও এখন সহজ।
গুগল ম্যাপের "Location Sharing" ফিচার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময় ধরে আপনার
অবস্থান শেয়ার করা যায়। প্রিয়জন আপনার অবস্থান রিয়েল-টাইমে দেখতে পারবেন,
যা ভ্রমণ, জরুরি পরিস্থিতি বা সন্তানের নিরাপত্তার জন্য খুবই কার্যকর। গুগল
ম্যাপ ট্রাফিক এবং রাস্তার অবস্থা জানতেও সাহায্য করে। কোনো জায়গায় যাওয়ার
আগে ট্রাফিক পরিস্থিতি দেখে রুট বেছে নিলে সময় বাঁচে এবং ঝামেলা কম হয়।
সবুজ রঙ মানে রাস্তায় সমস্যা নেই, আর লাল রঙ মানে ট্রাফিক বেশি। এছাড়াও, অন্য
ব্যবহারকারীদের রিভিউ এবং রেটিং দেখে রেস্টুরেন্ট, হোটেল বা দোকান সম্পর্কে
সহজে ধারণা পাওয়া যায়। ইন্টারনেট না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই। আগে থেকে
প্রয়োজনীয় এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করে নিলে অফলাইনে সেই এলাকার রুট এবং স্থান
সম্পর্কে তথ্য পাওয়া সম্ভব। এটি বিশেষভাবে ভ্রমণের সময় দারুণ সুবিধাজনক।
গুগল ম্যাপ কেবল একটি নেভিগেশন অ্যাপ নয়; এটি এক ধরনের ডিজিটাল গাইড, যা
প্রতিদিনের জীবনকে করে তুলছে আরও সহজ, স্মার্ট এবং নিরাপদ। সঠিকভাবে ব্যবহার
জানলে গুগল ম্যাপ হতে পারে আপনার ভ্রমণ, কাজ এবং নিরাপত্তারও বিশ্বস্ত সঙ্গী।
আমার লোকেশন কোথায় এখন/ আমি এখন কোথায় আছি ম্যাপ
নতুন কোনো জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন? তাহলে সেই জায়গার লোকেশন জানা খুবই জরুরি।
কারণ, অচেনা জায়গায় গেলে অনেক সময় সঠিক রাস্তা বা প্রয়োজনীয় স্থান খুঁজে
পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এই সমস্যার সহজ সমাধান হলো গুগল ম্যাপ।
এছাড়াও আপনি কি কখনো হঠাৎ ভেবে দেখেছেন, “আমি এখন কোথায় আছি?” বা “আমার
লোকেশন কোথায় এখন” – ভ্রমণ, অফিসের কাজ, বা কোনো নতুন এলাকায় গেলে এ রকম
চিন্তা আমাদের সবারই মাথায় আসে। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই, এখন স্মার্টফোনে
গুগল ম্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন আপনার সঠিক লোকেশন। এই
আর্টিকেলে আমরা একদম সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করব কিভাবে বুঝবেন আমার লোকেশন কোথায়
এখন এবং গুগল ম্যাপ থেকে কীভাবে সঠিকভাবে সেটি চেক করবেন।
এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব – “আমি এখন কোথায় আছি” এই প্রশ্নের
সঠিক উত্তর পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি নিয়ে। এছাড়াও আপনি হয়তো অনেক সময়
সার্চ করেন –
- “হ্যালো গুগল, আমি এখন কোথায় আছি?”
- “আমি এখন কোন এলাকায় আছি, ম্যাপে দেখাও।”
- “আমার লোকেশন কোথায়?”
চিন্তা নেই! এই আর্টিকেলটি পড়লেই আপনি খুব সহজেই শিখে যাবেন কীভাবে গুগল ম্যাপ
ব্যবহার করে নিজের সঠিক অবস্থান জেনে নেবেন। এছাড়াও জানাবো রোড ম্যাপ
লোকেশন সম্পর্কে
প্রথমেই, যদি আপনি জানতে চান “আমি এখন কোথায় আছি?”, তবে আপনার স্মার্টফোনই হতে
পারে সবচেয়ে সহজ সমাধান। এজন্য প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে আপনার ফোনে গুগল ম্যাপ
কোথায় আছে। তাহলে কী করবেন?
- আগে ফোনটা হাতে নিন।
- দেখুন, হোমস্ক্রিনে গুগল ম্যাপ আছে কি না।
- না থাকলে ফোল্ডারগুলোর মধ্যে খুঁজে দেখুন।
- খুঁজে না পেলে সার্চ বারে লিখুন Google Maps—সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন।
- আপনার ফোনের লোকেশন (GPS) অপশনটি চালু করুন।
- সেটিংস থেকে “Location” অন করে নিন, যাতে ম্যাপ আপনার সঠিক জায়গা চিনতে পারে।
- “Current Location” দেখুন
- গুগল ম্যাপ খুললেই একটি নীল বিন্দু দেখাবে।
- এই নীল বিন্দুই আপনার বর্তমান লোকেশন।
লোকেশনের বিস্তারিত জানুনঃ বিন্দুটির উপর ট্যাপ করলে জায়গার নাম, এলাকা,
রাস্তার নাম বা গ্রাম/শহরের নামসহ আরও তথ্য পেয়ে যাবেন।
আর হ্যাঁ, গুগল ম্যাপের জন্য আলাদা করে কিছু ডাউনলোড করার দরকার নেই। আপনার
স্মার্টফোনে এটি আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। শুধু খুঁজে বের করুন আর ব্যবহার শুরু
করুন। আর আপনার গুগল ম্যাপ অ্যাপ যদি আপডেট না থাকে, তাহলে আগে গুগল প্লে স্টোরে
গিয়ে সেটি আপডেট করে নিন। কারণ অনেক সময় পুরনো ভার্সন ঠিকমতো কাজ করে না বা
সঠিক লোকেশন দেখায় না। তাই শুধু গুগল ম্যাপ নয়, নিয়মিত আপনার অন্যান্য
অ্যাপগুলোও আপডেট করে রাখুন, এতে সব অ্যাপ আরও ভালোভাবে এবং দ্রুত কাজ করবে।
কেন জানা দরকার আমার লোকেশন কোথায়ঃ আপনার সঠিক লোকেশন জানা অনেক পরিস্থিতিতে
কাজে লাগে, যেমন –
- নতুন কোনো শহর বা গ্রামে গেলে রাস্তাঘাট বোঝা।
- বন্ধু বা পরিবারের কাউকে নিজের লোকেশন শেয়ার করা।
- জরুরি প্রয়োজনে সাহায্য চাওয়া।
- যাতায়াতের সময় সঠিক রুট বেছে নেওয়া।
শেষ কথা
এখন আর “আমার লোকেশন কোথায় এখন” প্রশ্নে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শুধু
গুগল ম্যাপ খুলুন, আর কয়েক সেকেন্ডেই জেনে নিন আপনার সঠিক অবস্থান। ভ্রমণ, কাজ
বা জরুরি যে কোনো পরিস্থিতিতে এই জ্ঞান আপনার জীবনকে আরও সহজ এবং স্মার্ট করে
তুলবে।
গুগল ম্যাপে লোকেশন এড করার নিয়ম
গুগল ম্যাপে লোকেশন এড করার নিয়ম জানতে চান? আপনি যদি কোনো স্থানে যেতে চান এবং
সেই স্থানের লোকেশন এড করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার মোবাইলে থাকা Google Maps
অ্যাপটি খুলুন। এরপর সার্চ বারে সেই স্থানের নাম লিখুন যেখানে যেতে চান। উদাহরণ
হিসেবে ধরুন, আপনি বনানী যেতে চান। তাহলে সার্চ বারে “বনানী” লিখে সার্চ করুন।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ম্যাপ আপনাকে সেই স্থানের ইন্টারফেসে নিয়ে যাবে।
- ইন্টারফেসে নিচে কিছু অপশন দেখতে পাবেন, যেমন Directions, Start, Save ইত্যাদি। এখন Directions-এ ক্লিক করুন। এতে আপনি দেখতে পাবেন আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে। মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল বা অন্য যেকোনো যানবাহনের জন্য সময় ভিন্ন হতে পারে।
- ডান পাশে থাকা আইকনে ক্লিক করলে আরও কিছু অপশন দেখতে পাবেন, যেমন Default, Satellite, Terrain, Public Transit, Traffic, Bicycling, 3D, Street View, Wildfires এবং Air Quality। এখন যদি আপনি Satellite-এ ক্লিক করেন, তাহলে আপনার লোকেশন স্যাটেলাইট ভিউতে দেখা যাবে।
- এছাড়াও, Traffic অপশন দিয়ে রাস্তার যানজট দেখতে পারবেন। Public Transit থেকে পাবলিক ট্রানজিটের বিভিন্ন রুট জানা যায়। আর যদি Street View-এ ক্লিক করেন, তাহলে আপনার গন্তব্যে যাওয়ার পথের বিভিন্ন রাস্তাও দেখতে পারবেন। ধরুন, যাওয়ার পথে কোনো রাস্তা জ্যামে ভরা আছে; Street View দেখে সহজেই বিকল্প রাস্তা বেছে নেওয়া যায়।
এইভাবে, গুগল ম্যাপে লোকেশন এড করার নিয়ম মেনে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে আপনি যে
কোনো স্থানে নিরাপদ এবং সহজে ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি শুধু রাস্তা খুঁজে পাওয়াই
নয়, বরং আপনার ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক এবং ঝুঁকিমুক্ত করে তোলে।
গুগল ম্যাপ এর মাধ্যমে নিজের লোকেশন কিভাবে বের করতে হয়
গুগল ম্যাপ এর মাধ্যমে নিজের লোকেশন কিভাবে বের করতে হয়। কেউ যদি আপনাকে মজা করে
বলে – “amar location bolo দেখি!” – তখন একটু বিরক্ত লাগতে পারে, তাই না? আবার
ধরুন, আপনি কোথাও ঘুরতে গেছেন কিন্তু জায়গাটা একেবারেই আপনার অচেনা। তখন মাথায়
বারবার ঘুরতে থাকে –
আমি এখন কোথায় আছি? এই জায়গার নাম কী? আমি কি কোনো গ্রামে আছি?
অচেনা জায়গায় গেলে এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর সমাধান
কীভাবে করবেন? চিন্তা নেই! এই পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে দেখাব কিভাবে গুগল ম্যাপ
ব্যবহার করে সহজেই নিজের লোকেশন বের করতে পারবেন। গুগল ম্যাপ দিয়ে নিজের লোকেশন
বের করার ধাপ
- গুগল ম্যাপ খুলুন
- আপনার স্মার্টফোনের হোম স্ক্রিন বা অ্যাপস লিস্ট থেকে গুগল ম্যাপ চালু করুন।
- GPS চালু করুন
- ফোনের লোকেশন বা GPS অন করুন। এটা খুবই জরুরি, কারণ GPS ছাড়া সঠিক লোকেশন পাওয়া সম্ভব নয়।
- জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগইন করুন
- যদি আগে থেকে লগইন না করা থাকে, তাহলে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
- লোকেশন বাটনে ক্লিক করুন
- গুগল ম্যাপের নিচের দিকে থাকা লোকেশন আইকনে ক্লিক করুন।
- নীল বিন্দুতে নজর দিন
- স্ক্রিনে একটি নীল বিন্দু দেখা যাবে –
এটাই আপনার বর্তমান লোকেশন। এখান থেকে বুঝতে পারবেন – আমি এখন কোথায় আছি? এই
জায়গার নাম কী? আমি কোন গ্রামে বা শহরে আছি? এছাড়াও জানাবো
রোড ম্যাপ লোকেশন সম্পর্কে।
লোকেশন ছাড়াও কী পাবেন গুগল ম্যাপেঃ লোকেশন জানার পাশাপাশি গুগল ম্যাপ দিয়ে
আশেপাশের আরও অনেক তথ্য জানতে পারবেন, যেমন –
- কাছের দোকান, হাসপাতাল, বা রেস্টুরেন্ট
- বাস স্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা
- সঠিক রাস্তাঘাট ও যাতায়াতের রুট
গুগল ম্যাপ কীভাবে কাজ করেঃ এবার আসল কনসেপ্টটা জানুন। গুগল ম্যাপ স্যাটেলাইট
থেকে তোলা ছবি ব্যবহার করে। এই ছবিগুলো নিয়মিত আপডেট হয় এবং আপনার ফোনের GPS
ডেটার সাথে মিলিয়ে আপনার অবস্থান খুব নিখুঁতভাবে দেখায়। তাই মাত্র কয়েক
সেকেন্ডেই জানতে পারেন, আপনি ঠিক কোথায় আছেন এবং আপনার আশেপাশে কী কী আছে।
তাই এখন থেকে অচেনা জায়গায় গেলেও আর চিন্তা নেই। শুধু গুগল ম্যাপ খুলুন, GPS অন
করুন আর নীল বিন্দুর মাধ্যমে জেনে নিন আপনার সঠিক লোকেশন। ঘোরাঘুরি হোক, কাজের
প্রয়োজনে যাওয়া হোক – গুগল ম্যাপ সবসময় থাকবে আপনার হাতের মুঠোয় গাইড হিসেবে।
আমি এখন কোন গ্রামে আছি
আমি এখন কোন গ্রামে আছি? গুগল ম্যাপ শুধু আপনার বর্তমান লোকেশন জানার জন্যই
নয়, নতুন কোনো জায়গা খুঁজে বের করতেও দারুণ কাজে দেয়। ধরুন, আপনি কোথাও আছেন
এবং সেখান থেকে অন্য কোনো জায়গায় যেতে চান, কিন্তু রাস্তাটা জানেন না—তাহলে
গুগল ম্যাপই হবে আপনার সবচেয়ে বড় সহায়ক।
আপনি যদি কোনো গ্রামে ঘুরতে যান, তাহলে নিজের বর্তমান লোকেশন জানা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় গ্রামের অচেনা রাস্তা বা এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে আমরা
আমাদের অবস্থান হারিয়ে ফেলি। এর ফলে গন্তব্যে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। তবে
চিন্তার কোনো কারণ নেই, গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজের লোকেশন জানতে
পারেন এবং যেকোনো স্থানের লোকেশনও খুঁজে পেতে পারেন।
গুগল ম্যাপ মূলত নতুন কোনো জায়গার লোকেশন খুঁজে বের করতে বা নিজের বর্তমান
অবস্থান জানতে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনি অন্য কোনো জায়গার লোকেশন জানতে চান
বা নতুন স্থান খুঁজে পেতে চান, তাহলে প্রথমে গুগল ম্যাপ ওপেন করুন। এরপর
স্ক্রিনের নিচের দিকে থাকা নীল ডট চিহ্ন-এর মতো আইকনে ক্লিক করুন। এটি দেখাবে
আপনার বর্তমান অবস্থান।
নতুন কোনো জায়গার লোকেশন খুঁজতে সার্চ বারে যান। প্রথমে Choose start
location-এ নিজের বর্তমান লোকেশন কনফার্ম করুন। তারপর Choose destination-এ
যেই স্থানটি খুঁজতে চান তার নাম লিখুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গুগল ম্যাপ
সেই স্থানের জন্য লাল ডট চিহ্ন দেখাবে। এবার আপনি দেখতে পাবেন সেখানে
পৌঁছানোর জন্য কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এবং কত সময় লাগবে।
এছাড়াও, ম্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন বিকল্প রুটও দেখা যায়। চলুন বিষয়টা ধাপে
ধাপে দেখা যাক যাতে সহজ ভাবে বোঝা সুবিধা হয়।। গুগল ম্যাপ দিয়ে নতুন জায়গা
খোঁজার ধাপ
- বর্তমান লোকেশন নিশ্চিত করুন
- প্রথমে গুগল ম্যাপে আপনার Your Location কনফার্ম করুন, যাতে ম্যাপ বুঝতে পারে আপনি কোথায় আছেন।
- গন্তব্য লিখুন
- সার্চ বারে বা Choose Destination অপশনে গিয়ে আপনি যে জায়গায় যেতে চান, সেই জায়গার নাম লিখুন। যেমন – “ঢাকা নিউ মার্কেট” বা “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।”
- লাল ডট চিহ্ন খুঁজে নিন
- গুগল ম্যাপ আপনার খোঁজা জায়গাটি একটি লাল রঙের ডট দিয়ে দেখাবে।
- রুট বা রাস্তা দেখুন
- আপনার নীল ডট (বর্তমান লোকেশন) থেকে সেই লাল ডট (গন্তব্য) পর্যন্ত একটি নীল রঙের লাইন দিয়ে রাস্তা দেখানো হবে। এটি হচ্ছে সবচেয়ে শর্টকাট বা দ্রুত যাওয়ার রুট।
- বিকল্প রুট দেখুন
- শুধু একটিই নয়, গুগল ম্যাপ ধূসর রঙে আরও কিছু বিকল্প রুট দেখিয়ে দেয়, যাতে আপনার সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।
এভাবে অজানা বা নতুন কোনো স্থানের লোকেশন খুঁজে বের করা যায়। গুগল ম্যাপ
ব্যবহার করে আপনি সবসময় নিজের অবস্থান জানতে পারবেন এবং সহজে গন্তব্যে পৌঁছাতে
পারবেন, এমনকি গ্রামের অচেনা রাস্তা হলেও। এটা পুরো ভ্রমণকে করে তোলে আরও
নিরাপদ, সহজ এবং আনন্দদায়ক।
গুগল ম্যাপ ব্যবহারের সুবিধা-
- সঠিক ও দ্রুততম রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়।
- জ্যাম এড়িয়ে সময় বাঁচানো যায়।
- গাড়ি, বাস, ট্রেন বা হেঁটে যাওয়ার আলাদা রুট দেখা যায়।
- প্রতিটি রুটে কত সময় লাগবে সেটাও আগে থেকেই জানা যায়।
নতুন কোনো জায়গা খুঁজতে আর দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। শুধু গুগল ম্যাপ খুলুন,
আপনার লোকেশন নিশ্চিত করুন এবং গন্তব্য লিখুন—বাকি কাজ করে দেবে গুগল ম্যাপ।
নীল ডট থেকে লাল ডট পর্যন্ত শর্টকাট রুট দেখে সহজেই চলে যান আপনার কাঙ্ক্ষিত
জায়গায়।
গুগল ম্যাপ লোকেশন কিভাবে শেয়ার করতে হয়
গুগল ম্যাপ লোকেশন কিভাবে শেয়ার করতে হয়? ভ্রমণ, নিরাপত্তা কিংবা জরুরি
প্রয়োজনে প্রিয়জনের সঙ্গে নিজের লাইভ লোকেশন শেয়ার করা এখন খুবই
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমনকি অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানের অবস্থান জানতে এই
ফিচার ব্যবহার করে থাকেন। গুগল ম্যাপের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দেখার পাশাপাশি
নিজের সঠিক অবস্থান অন্যকে জানানো একদম সহজ একটি প্রক্রিয়া।
ধরুন –
- আপনি রাতে একা ভ্রমণ করছেন,
- কোনো নতুন জায়গায় যাচ্ছেন,
- কিংবা আপনার সন্তান বাইরে আছে, আর আপনি তার অবস্থান জানতে চান—
- এসব ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপের লাইভ লোকেশন ফিচার হবে আপনার সেরা সহায়ক।
কাউকে নিজের সঠিক লোকেশন পাঠাতে চান? গুগল ম্যাপে সহজেই লোকেশন শেয়ার করা
যায়। নিচে একদম সহজ ভাষায় ধাপে ধাপে জানানো হলো, কীভাবে আপনি নিজের লাইভ
লোকেশন অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। গুগল ম্যাপে লাইভ লোকেশন শেয়ারের ধাপ
- ১. গুগল ম্যাপ চালু করুনঃ প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে থাকা Google Maps অ্যাপটি খুলুন।
- ২. প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করুনঃ স্ক্রিনের ওপরে ডান পাশে থাকা প্রোফাইল আইকন-এ চাপ দিন।
- ৩. লোকেশন শেয়ারিং নির্বাচন করুনঃ মেনু থেকে "Location Sharing" অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- ৪. লোকেশন শেয়ার বাটনে ট্যাপ করুনঃ নিচে থাকা "Share Location" বাটনে ট্যাপ করুন।
- ৫. সময় নির্ধারণ করুনঃ আপনি কতক্ষণ লোকেশন শেয়ার করবেন সেটি নির্ধারণ করুন— ১ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অথবা “Turn off until you stop sharing” অপশন বেছে নিলে, আপনি নিজে বন্ধ না করা পর্যন্ত লোকেশন শেয়ার হবে।
- ৬. যাকে শেয়ার করতে চান তাকে নির্বাচন করুনঃ প্রদর্শিত ইমেইল তালিকা থেকে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির ইমেইল ঠিকানা নির্বাচন করুন। যদি তালিকায় না থাকে, তবে তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করে সার্চ বক্সে ইমেইল লিখে "Send" চাপুন।
- ৭. শেয়ার লিংক পাঠান (ঐচ্ছিক)। নিচে থাকা জিমেইল বা অন্যান্য অপশনে ট্যাপ করে শেয়ার লিংক কপি করুন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা এসএমএসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিন
লাইভ লোকেশন শেয়ার করলে অন্যরা কী দেখতে পারবে? হ্যাঁ যার সঙ্গে লোকেশন শেয়ার
করবেন, তিনি দেখতে পাবেন –
- আপনার বর্তমান অবস্থান
- আপনার মুভমেন্ট বা চলাচল
- এমনকি আপনার ফোনের ব্যাটারির চার্জ শতাংশ পর্যন্ত
লোকেশন শেয়ার বন্ধ করার উপায়ঃ যখন আর প্রয়োজন নেই, তখন “Stop” বাটনে
ট্যাপ করে লোকেশন শেয়ারিং বন্ধ করে দিন।
গুগল ম্যাপের লাইভ লোকেশন শেয়ারিং ফিচার ব্যবহার করা যেমন সহজ, তেমনি এটি হতে
পারে আপনার নিরাপত্তার অতিরিক্ত সুরক্ষা। ভ্রমণ হোক বা জরুরি প্রয়োজন—কেবল
কয়েকটি ক্লিকেই প্রিয়জনদের জানিয়ে দিন, “আমি এখন এখানে আছি!”
কিছু সময় দেখা যায় গুগল ম্যাপ সঠিক লোকেশন দেখাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে –
মোবাইলের ইন্টারনেট কানেকশন ঠিক আছে কিনা চেক করুন।
লোকেশন/GPS সেটিংস সঠিকভাবে অন আছে কিনা দেখুন।
প্রয়োজনে গুগল ম্যাপ অ্যাপটি আপডেট করুন।
রোড ম্যাপ লোকেশন কি
রোড ম্যাপ লোকেশন কি অনেকের সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। আপনি যদি
নতুন কোনো জায়গায় যাচ্ছেন বা ভ্রমণ পরিকল্পনা করছেন, তখন আপনার জন্য
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঠিক কোথায় যেতে হবে এবং কোন রাস্তা দিয়ে
যাবেন। এই মুহূর্তেই কাজে আসে রোড ম্যাপ লোকেশন। সহজ কথায়, রোড ম্যাপ লোকেশন
হলো আপনার যাত্রাপথের সঠিক অবস্থান এবং পথের নির্দেশনা দেখানোর
ব্যবস্থা।
এটি শুধুমাত্র রাস্তার মানচিত্র নয়, বরং আপনার ভ্রমণকে সহজ, নিরাপদ এবং সঠিক
করে তোলে। বাংলাদেশ ম্যাপ রোড এটি ব্যবহার করে আপনি দেখতে পাবেন কোথা
থেকে কোথায় যেতে হবে, কোন রাস্তা সবচেয়ে দ্রুততম এবং কোন রাস্তা ব্যস্ত বা
জ্যামে ভরা।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি শহরের একটি অচেনা এলাকায় যাচ্ছেন। এই সময় আপনি গুগল
ম্যাপ বা যেকোনো নেভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে রোড ম্যাপ লোকেশন দেখতে পারবেন।
এতে শুধু আপনার বর্তমান অবস্থান জানা যায় না, বরং সেই স্থানে পৌঁছানোর জন্য
বিভিন্ন বিকল্প রুট, রাস্তার ধরন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতি-ও জানা যায়।
রোড ম্যাপ লোকেশনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং
সময় বাঁচায়। আপনি যদি ট্রাফিক জ্যাম বা বন্ধ রাস্তার সমস্যায় পড়েন, তবে
ম্যাপ দেখিয়ে দেয় বিকল্প পথ। এটি শুধু ড্রাইভার নয়, পথচারী বা সাইকেল
চালকদের জন্যও সহায়ক। আরও সুবিধা হলো, এটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো
গুরুত্বপূর্ণ স্থানের লোকেশন আগে থেকেই চিহ্নিত করতে পারেন। যেমন হোটেল,
হাসপাতাল, স্কুল বা বাজার—সবকিছুর অবস্থান এক নজরে বোঝা যায়।
গুগল ম্যাপ বা অন্য নেভিগেশন অ্যাপের সাহায্যে রোড ম্যাপ লোকেশন ব্যবহার করা
খুব সহজ। প্রথমে নিজের বর্তমান লোকেশন কনফার্ম করুন, তারপর গন্তব্য লিখুন।
ম্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীল ডট দিয়ে আপনার অবস্থান দেখাবে এবং লাল ডট দিয়ে
গন্তব্য। এছাড়াও, ম্যাপ দেখাবে কত মিনিটে পৌঁছানো যাবে এবং কোন রাস্তা
সবচেয়ে শর্টকাট।
সারসংক্ষেপে, রোড ম্যাপ লোকেশন আপনার যাত্রাকে করে তোলে আরও সুবিধাজনক,
নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত। এটি শুধু ভ্রমণকে সহজ করে তোলে না, বরং আপনাকে আপনার
গন্তব্যে দ্রুত এবং সঠিকভাবে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ভ্রমণ, কাজ বা দৈনন্দিন
চলাচলের ক্ষেত্রে এটি এখন অপরিহার্য একটি টুল।
গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক
গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক। সড়ক ও মহাসড়কের কোড
কীভাবে বুঝবেন? আমরা প্রায়ই কাজ বা বেড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাই। নতুন বা
অচেনা জায়গায় প্রথমবার যাওয়ার সময় সাধারণত ব্যবহার করা হয় গুগল ম্যাপ বা অন্য
কোনো নেভিগেশন অ্যাপ। কিন্তু অনেক সময় ম্যাপের নির্দেশনা পুরোপুরি বোঝা যায় না,
ফলে ভুল পথে চলে গিয়ে ভ্রমণ সমস্যার মধ্যে পড়ে। তাই জানা জরুরি, সড়ক ও মহাসড়কের
কোড কী বোঝায় এবং কোন কোডের রাস্তা কোথায় নিয়ে যায়।
- ধরুন, আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। গুগল ম্যাপে আপনার লোকেশন সেট করলে দেখা যাবে যে রাস্তাটির মাঝে লেখা আছে N1। অনেকেই হয়তো জানেন না, এই কোডের অর্থ কী। আসলে, N1 মানে ‘National Highway 1’ বা জাতীয় মহাসড়ক ১। বাংলাদেশে জাতীয় মহাসড়কের কোডগুলো N1, N2, N3, N4, N5, N6, N7, N8 এর ক্রমে দেওয়া হয়েছে।
- N1 ধরে চললে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সহজেই টেকনাফ পর্যন্ত পৌঁছানো যায়। পথে পাবেন নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ আরও কয়েকটি জেলা। এই জেলায় ঢুকতে হলে আপনাকে N1 থেকে নেমে সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সড়ক ধরতে হবে। সাধারণত এসব জেলার সড়কের কোড তিন অঙ্কের হয়। যেমন, রাঙ্গামাটির দিকে যেতে হলে N106 সড়ক ব্যবহার করতে হবে।
- এভাবে N2 জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত যায়। এই পথে পাবেন নরসিংদী, ভুলতা, শায়েস্তাগঞ্জ, মীরপুর, শেরপুর, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার। সিলেট যাওয়ার সময় N2 ধরে থাকলে মাঝপথে N207-এর মতো জেলা সড়ক ধরে চলে যেতে হবে, যাতে পৌঁছানো যায় শ্রীমঙ্গল বা মৌলভীবাজার।
- এছাড়া, অন্যান্য জাতীয় মহাসড়কের কোডও একইভাবে জানা থাকলে ভ্রমণ অনেক সহজ হয়। উদাহরণস্বরূপ, N3 ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, N4 ঢাকা থেকে জামালপুর, N5 ঢাকা থেকে আরিচা হয়ে রংপুর ও বাংলাবান্ধা, N6 ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, N7 দৌলতদিয়া হয়ে খুলনা ও মোংলা, আর N8 ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী পর্যন্ত চলে।
যদি আপনি এই কোডগুলো জানেন, তাহলে গুগল ম্যাপে লোকেশন সেট করে সহজেই সঠিক পথ
এবং আনুমানিক সময় দেখতে পারবেন। এর ফলে ভুল পথে হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
তাই যেকোনো জায়গায় যাওয়ার আগে ভ্রমণ করতে চাওয়া সব জায়গার সড়ক ও মহাসড়কের কোড
দেখে নিন। এতে ভ্রমণ হবে আরও নিরাপদ, সহজ এবং আনন্দদায়ক।
আমার লোকেশন কোথায় এখন সে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ গুগল ম্যাপ লোকেশন কি?
উত্তরঃ গুগল ম্যাপ লোকেশন হলো আপনার বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান বা যে স্থানে আপনি
আছেন তার সঠিক ঠিকানা এবং স্থানকে দেখানোর সুবিধা। এটি GPS ব্যবহার করে আপনার
অবস্থান ম্যাপে নীল ডট দিয়ে চিহ্নিত করে এবং আশেপাশের এলাকা ও রুট খুঁজে দিতে
সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ আমি কি নিজের লোকেশন অফলাইনে দেখতে পারি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আগেই নির্দিষ্ট এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করলে ইন্টারনেট ছাড়াই
লোকেশন দেখা সম্ভব।
প্রশ্নঃ রাস্তার ট্রাফিক বা যানজট কীভাবে দেখব?
উত্তরঃ Google Maps-এর Traffic অপশন চালু করুন। রঙের মাধ্যমে জানবেন কোথায়
যানজট আছে এবং বিকল্প রাস্তা নিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ আমি কি Street View ব্যবহার করে গন্তব্যের রাস্তা দেখতে পারি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, Street View-এ ক্লিক করলে গন্তব্যের রাস্তাঘাট, রাস্তার বিকল্প
পথ এবং আশেপাশের landmarks দেখা যায়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ ম্যাপ রোড কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ম্যাপ রোড হলো দেশের সড়ক ও মহাসড়কের মানচিত্র, যা
রাস্তাগুলোর অবস্থান, কোড (যেমন N1, N2) এবং রুট নির্দেশনা দেখায়। এটি ব্যবহার
করে যেকোনো স্থানে পৌঁছানোর সবচেয়ে দ্রুত এবং নিরাপদ পথ খুঁজে নেওয়া যায়।
আমার লোকেশন কোথায় এখন সে সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত
আজকের আর্টিকেলে গুগল ম্যাপ এর ব্যবহার থেকে শুরু করে আমার লোকেশন কোথায়
এখন/ আমি এখন কোথায় আছি, গুগল ম্যাপে লোকেশন এড করার নিয়ম, গুগল ম্যাপ এর
মাধ্যমে নিজের লোকেশন কিভাবে বের করতে হয়, আমি এখন কোন গ্রামে আছি, গুগল
ম্যাপ লোকেশন কিভাবে শেয়ার করতে হয়, রোড ম্যাপ লোকেশন কি, বাংলাদেশ ম্যাপ
রোড কি?, গুগল ম্যাপে যেভাবে চিনবেন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক সে
সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আমার মতে, বর্তমান লোকেশন জানা শুধুমাত্র ভ্রমণের সুবিধার জন্য নয়, বরং আমাদের
দৈনন্দিন জীবনের নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অচেনা জায়গায় গেলে
নিজের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত থাকলে পথ হারানোর সমস্যা দূর হয় এবং আমরা আরও
আত্মবিশ্বাসীভাবে চলাফেরা করতে পারি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, Google
Maps-এর মতো টুল ব্যবহার করে নিজের লোকেশন চেক করা এখন একধরনের আধুনিক
জীবনধারার অংশ হয়ে গেছে, যা শুধু রাস্তা খুঁজে দেওয়া নয়, আমাদের নিরাপত্তা
এবং সময় বাঁচাতেও বড় সাহায্য করে।
মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url