ভিডিও ছাড়াই ইউটিউবে সফলতা ! এই কৌশল কাজে লাগান-

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম শুনে অবাক লাগছে? কিন্তু এটা একেবারেই সম্ভব। এই পোস্টে এমন কিছু ইউনিক উপায় জানাবো যেগুলো দিয়ে আপনি নিজের ভিডিও বানানো ছাড়াই ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর সবকিছুই একদম ঘরে বসে স্মার্টলি। সেই সাথে ১ ভিউ কত টাকা দেখে নিন।
 
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম
আপনি যদি লেখালেখি ভালোবাসেন, আপনার ভয়েস ভালো হয় বা একটু ডিজিটাল কাজ জানেন তাহলে youtube হতে পারে আপনার ইনকামের দারুন একটা প্লাটফর্ম। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক youtube এর চারপাশে ঘুরে থাকা অসংখ্য সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় জেনে কিভাবে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় / ১ ভিউ কত টাকা দেখুন

ভিডিও ছাড়াও ইউটিউব থেকে আয় সম্ভব কিভাবে?

ভিডিও ছাড়াও ইউটিউব থেকে আয় সম্ভব কিভাবে ভাবছেন তো? অনেকে মনে করেন ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে নিজের মুখ দেখিয়ে ভিডিও বানাতে হবে। কিন্তু আসলে তা নয়। ভিডিও ছাড়াও কিছু বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করা সম্ভব। আজকাল ইউটিউব থেকে আয় করা শুধু ভিডিও বানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। 

আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন এমন অনেক উপায় আছে যেগুলোতে ভিডিওতে নিজের মুখ দেখানো বা কণ্ঠস্বর ব্যবহার করাও লাগে না। অনেকেই এই বিকল্প পথ গুলো ব্যবহার করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন তাও একেবারে পেছন থেকে কাজ করে। বিশ্বের বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের বিনোদনের জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ইউটিউব। 

আর এখন ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করা একেবারে সম্ভব। শুধু দরকার সঠিক দক্ষতা আর ইচ্ছা শক্তি। ইউটিউব শুধু ভিডিও বানানোর জায়গায় না এটি একটি সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম। একটু দক্ষতা আর ধৈর্য থাকলে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম এর অনেক রাস্তা খোলা থাকে। নিজেকে তৈরি করুন, আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন এবং কাজ শুরু করুন।

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমত ভিডিও বানানো লাগে, তারপর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হয়। ইউটিউব মনিটাইজেশন চালুর মাধ্যমে নিজের আপলোড করা ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ উপার্জন হয়। কিন্তু এখন আপনি নিজে কোন ভিডিও না বানিয়েই এই ইউটিউব প্লাটফর্ম থেকেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

ভিডিও বানাতে পারবেন না? তাতেও সমস্যা নেই! জেনে নিন কিভাবে স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ভয়েস ওভার, থাম্বনেইল ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং অথবা অটোমেশন চ্যানেলের পেছনে কাজ করে ইউটিউব থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়- তাও আবার নিজের মুখ না দেখিয়ে। নিচে বিস্তারিতভাবে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই  বিস্তারিত জানতে এখনই পড়ুন গাইডটি। মনে রাখবেন সৃষ্টিশীলতা ও ধৈর্যই আপনাকে সফল করবে।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন? অনেকেই ইউটিউব থেকে আয় করতে চান কিন্তু ক্যামেরার সামনে আসতে বা নিজের কন্ঠ ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। যদি আপনি তাদেরই একজন হন তবে আপনার জন্য দারুন খবর- ইউটিউব থেকে ভিডিও বানানো ছাড়াও আয় করা এখন একেবারে সহজ। 
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়
অনলাইন ইনকামের তো বিভিন্ন উপায় রয়েছে তার মধ্যে youtube থেকে দ্রুত এবং খুব সহজেই আয় করা সম্ভব। অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি কোন পার্টটাইম জব করতে চান অনলাইনে, এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় তারা youtube চ্যানেল তৈরি করার কথা ভাবে। কিন্তু ব্যবসা পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি নিজের ভিডিও তৈরি করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। 

তাই কোন রকম বিনিয়োগ ছাড়াই ও কোন ধরনের ভিডিও তৈরি না করেই ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় তার উপায় খোঁজেন অনেকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় সবার মাঝে ইউটিউব ভিডিও বানানোর আগ্রহ তৈরি হলেও ক্যামেরার সামনে আসতে হবে ভেবে বা সঠিকভাবে কথা বলতে না পারা এবং ভিডিও রেকর্ড করতে না পারার জন্য আর সামনে এগোনোর কথা মাথায় আসে না। 

তাদের জন্য ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো ভীষণ কার্যকর। এখন এমন ১০টি উপায় সম্পর্কে জানাবো আপনি ভিডিও তৈরি না করে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন তাও ঘরে বসেই। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই-
  • স্ক্রিপ্ট রাইটিং - কথার জাদুতে ইনকামঃ ইউটিউব চ্যানেলগুলোর সফলতার মূল ভিত্তি হচ্ছে ভালো স্ক্রিপ্ট। অনেক ফেসলেস বা অ্যানিমেশন ভিত্তিক চ্যানেল আছে যারা ফ্রিল্যান্স স্ক্রিপ্ট রাইটার খোঁজে।
আপনি কি করবেন?
ভিডিওর থিম অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে লিখবেন।
গল্পময় সংক্ষিপ্ত এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করবেন।
কোথা থেকে কাজ পাবেন?
Fiver, Upwork, Freelancer
Facebook , telegram গ্রুপগুলো
সরাসরি ইউটিউব চ্যানেলে মেইল করে অফার দিন।

  • ভয়েস ওভার - কন্ঠই হবে আপনার পুঁজিঃ অনেক চ্যানেল আছে যেখানে মুখ দেখা যায় না, শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েস চলে। আপনি যদি পরিষ্কার ও আকর্ষণীয় ভাবে পড়তে পারেন তাহলে ভয়েস ওভার আর টেস্ট হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনার স্পষ্ট উচ্চারণ ও উপস্থাপন দক্ষতা থাকতে হবে।
  • থাম্বনেল ডিজাইনঃ একটি ভিডিওতে ক্লিক করার বড় কারণ হচ্ছে থাম্বনেইন। তাই ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারেন।
কিভাবে শুরু করবেন
Canva, Photoshop, Adobe Express
নিজের পোর্টফলিও তৈরি করুন
মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলুন।

  • ভিডিও এডিটিং- অন্যের ভিডিও ঘসে মেজে দিন নতুন রূপঃ যদি ভিডিও বানাতে না পারেন তাতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু যদি এডিট করতে পারেন সেটাও বড় ইনকামের পথ।
এইজন্য আপনার কিছু সফটওয়্যার দরকার পড়বে যেমন-
Adobe Premiere Pro
Capcut
DaVinci Resolve

  • ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট- ব্যাকএন্ড এর হিরোইনঃ অনেক ইউটিউবার আছে যারা ভিডিও বানাতে ব্যস্ত, কিন্তু এসইও, টাইটেল, ডেসক্রিপশন, আপলোড টাইমিং ইত্যাদি দেখতে বা করতে পারে না। সেখানে আপনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
  • ইউটিউব অটোমেশন টিমে কাজ - দলগতভাবে আয় করুনঃ ইউটিউব অটোমেশন হলো এমন এক মডেল যেখানে ভিডিও তৈরির সব ধাপ স্ক্রিপ্ট, ভয়েস, এডিট, আপলোড এ আলাদা লোক থাকে। আপনি এই টিমের একজন সদস্য হতে পারেন।
কোন কাজগুলো আপনি করতে পারেন-
কনটেন্ট রিসার্চ
স্ক্রিপ্ট রাইটিং
ভয়েস ওভার
ভিডিও এডিটিং
ডিজাইন

  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোমোশন-ইউটিউবে রেভিনিউ শেয়ারিংঃ আপনি চাইলে নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট ( ই-বুক কোর্স সফটওয়্যার ) ইউটিউব চ্যানেলদের মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। অনেক ইউটিউবার রেভিনিউ শেয়ারের ভিত্তিতে প্রমোশন করতে আগ্রহী।
যদি ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে AI বিভিন্ন টুলস রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে আপনি সহজেই ভিডিও বানিয়ে আপনার নিজস্ব চ্যানেলে শেয়ার করতে পারবেন। এখনকার সময় অনেকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ AI এর মাধ্যমে বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করছে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপলোড করে ভিউস বাড়াচ্ছে তাদের ইনকাম হচ্ছে অনেক বেশি। 

ইউটিউব আজকের দিনে শুধু একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম না বরং একটি ডিজিটাল কর্মসংস্থান হাব। আপনি যদি নিজের দক্ষতা চিহ্নিত করতে পারেন এবং অনলাইনে উপস্থিতি তৈরি করেন তাহলে ভিডিও না বানিয়েও youtube থেকে আয় করা সম্ভব। আজকে থেকেই শুরু করুন, সাথে দক্ষতা তৈরি করুন এবং সঠিক প্ল্যাটফর্মে কাজ খুঁজুন আর নিজের সফলতার গল্প লিখুন।

কপিরাইট ফ্রি ভিডিও কোথায় পাবেন- ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ বাংলা গাইড

কপিরাইট ফ্রি ভিডিও কোথায় পাবেন? আপনি কি youtube facebook বা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কপিরাইট ফ্রি ভিডিও খুঁজছেন? কিন্তু ভয় পাচ্ছেন ভিডিও ব্যবহার করলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসবে কিনা? চিন্তার কিছু নেই এখন আলোচনা করব কোথা থেকে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। কিভাবে বুঝবেন ভিডিও আসলেই কপিরাইট ফ্রি কিনা এবং ভিডিও ব্যবহার করার সময় কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রী স্টক ভিডিও ব্যবহার করা। এখন প্রশ্ন হতেই পারে ফ্রি স্টক ভিডিও কি তাই না? তো ফ্রি স্টক ভিডিওটা হচ্ছে কপিরাইট মুক্ত ভিডিও। এই সমস্ত ভিডিওগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারবেন। 

ফ্রি স্টক ভিডিওতে আপনি ফ্রি স্টক মিউজিক ব্যবহার করে একটি আকর্ষণীয় ভিডিও বানাবেন অতঃপর ইউটিউব আপলোড করে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। সেজন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি এই ফ্রি মিউজিক গুলো ডাউনলোড করে নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সকল ডাউনলোড ভিডিওতে আপনি কিছু এডিটিং করে ইউটিউবে আপলোড করবেন এবং মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় হবে।
  • কপিরাইট ফ্রি ভিডিও বলতে কী বোঝায়?
কপিরাইট ফ্রি ভিডিও হল এমন ভিডিও যেগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কোন অনুমতি নিতে হয় না বা পেমেন্ট দিতে হয় না। কিন্তু কিছু ভিডিওতে অ্যাট্রিবিউশন দিতে হতে পারে। আজকের এই ডিজিটাল যুগে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি একটি বড় সুবিধা কিন্তু কপিরাইট সমস্যার কারণে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। তাই এই গাইডে দেয়া ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি সহজেই কপিরাইট ফ্রি নিরাপদ ও মানসম্মত ভিডিও ডাউনলোড করে নিজের প্রজেক্টে ব্যবহার করে সহজেই ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। তাই আর দেরি কেন আজই শুরু করুন কপিরাইট ফ্রি ভিডিও এর মাধ্যমে শুরু হোক আপনার কনটেন্ট জার্নি।
  • গুরুত্বপূর্ণ শব্দ
পাবলিক ডোমেইনঃ সম্পূর্ণ ফ্রি ক্রেডিট ছাড়াই ব্যবহার করা যায়।
ক্রিয়েটিভ কমন জিরোঃ পাবলিক ডোমেইনের মতই সম্পূর্ণ ফ্রি। 
ক্রিয়েটিভ কমন এট্রিবিউশনঃ ফ্রি তবে ভিডিওর মালিক কে ক্রেডিট দিতে হবে।
  • কপিরাইট ভিডিও কোথায় পাবেন?
নিচে এমন কিছু জনপ্রিয় নির্ভরযোগ্য ওয়েব সাইটে তালিকা দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি ১০০% ফ্রি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।
  • 1. Pixabay
(https://pixabay.com/videos/)
Pixabay শুধু ছবি না বরং ভিডিওর জন্য দারুন জনপ্রিয়।
HD এবং 4K ভিডিও পাওয়া যায়।
Attribution দিতে হয় না।
ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যায়।
  • 2. Pexels
( https://www.pexels.com/videos/ )
Pexels একটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ভিডিও লাইব্রেরি অফার করে।
সব ভিডিও CCO লাইসেন্সে।
ক্রেডিট ছাড়াই ইউজ করা যায়।
ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম ফেইসবুক এ ব্যবহারযোগ্য।
  • 3. Videezy
( https://www.videezy.com/ )
Videezy এই হাজার হাজার ফ্রি এবং প্রিমিয়াম ভিডিও রয়েছে।
কিছু ভিডিওতে এট্রিবিউশন লাগে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও ( নেচার business background) পাওয়া যায়।
  • 4. Coverr
( https://coverr.com/ )
Coverr মূলত ওয়েবসাইট ব্যাকগ্রাউন্ড বা প্রমোশনাল ভিডিওর জন্য উপযুক্ত।
এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
এট্রিবিউশন ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য।
ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা যায়।
  • 5. Mixkit
( https://mixkit.com/free-stock-video/ )
Mixkit একটি Creative Commons Zero (CCO) লাইসেন্সভিত্তিক ভিডিও সাইট।
উইকলি নতুন ভিডিও যোগ হয়।
ফিল মেকিং ট্রাভেল বিজনেস ফ্যাশন ইত্যাদি ভিডিও রয়েছে।
একদম কোন ক্রেডিট ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য
  • 6. Videovo
( https://www.videovo.net/ )
Videovo ফ্রি ও প্রিমিয়াম দুই ধরনের ভিডিও দেয়।
কিছু ভিডিওতে এট্রিবিউট দরকার হয়।
বিভিন্ন লাইসেন্স অপশন রয়েছে ভালোভাবে পড়ে ডাউনলোড করুন।

ভিডিও ব্যবহারের আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে জেনে নিন-
    • লাইসেন্স টাইপ দেখুন অথবা প্রিমিয়াম কিনা
    • এট্রিবিউশন লাগবে কিনা চেক করুন
    • রিডি টিং ও রিআপলোডের অনুমতি আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন
    • যে সাইট থেকে ভিডিও নিচ্ছেন সেটি নির্ভরযোগ্য কিনা তা যাচাই করুন
ইউটিউবে কপিরাইট ফ্রি ভিডিও ব্যবহার করে কি মনিটাইজ করা যাবে?
হ্যাঁ যদি ভিডিওর লাইসেন্স বা পাবলিক ডোমেইন হয় এবং ইউটিউব এর গাইড লাইন অনুসারে আপনি ভিডিও নিজস্ব ভাবে এডিট ও উপস্থাপন করেন তাহলে সেই ভিডিও ব্যবহার করে মনিটাইজেশন সম্ভব। উপরিউক্ত বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি নানান ধরনের কপিরাইট ফ্রি ভিডিও পাবেন এবং পছন্দমত যে কোন ভিডিও ডাউনলোড করে সাথে যদি কপিরাইট ফ্রি মিউজিক যুক্ত করে বানিয়ে নিতে পারেন নতুন আরেকটি ভিডিও। এরপর এটিকে ইউটিউবে আপলোড করে আপনি ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ভিডিও এডিট করবেন

কিভাবে ভিডিও এডিট করবেন? আজকের দিনে ভিডিও এডিটিং শুধু ইউটিউবার দের জন্য নয়, ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, ডিজিটাল মার্কেটের এছাড়াও নিজের কোন প্রজেক্টের জন্য দরকার হতে পারে। আপনি যদি ভিডিও এডিট করা শিখতে চান কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোথা থেকে শুরু করবেন তাহলে এই এই আর্টিকেলটি পড়ুন।

ইউটিউবে ভিডিও এডিটিং করে দিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে অথবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা ভিডিও এডিটিং করার জন্য কর্মী নিয়োগ দেয়। আপনার যদি সঠিক ভিডিও এডিটিং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা পাবেন। 

এছাড়াও আপনি আকর্ষণীয় ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেও টাকা আরনিং করতে পারবেন। তাই ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে দক্ষ ভিডিও এডিটর হওয়া প্রয়োজন তাই জানতে হবে কিভাবে ভিডিও এডিট করতে হয়-
  • ভিডিও এডিটিং কি?
ভিডিও এডিটিং হচ্ছে ভিডিও ক্লিপগুলো কেটে জোড়া দিয়ে শব্দ যোগ করে কিংবা ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে একটি পরিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করার প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে ভিডিওর মান উন্নত হয় এবং দর্শকের অভিজ্ঞতা আরও ভালো হয়।
  • ভিডিও এডিট করার জন্য যেসব দরকার-
কম্পিউটার বা মোবাইলঃ ভিডিও এডিটিং করতে হলে একটি মিনিমাম স্পেসিফিকেশন সম্পন্ন ডিভাইস দরকার। মোবাইল দিয়েও অনেক ভালো ভিডিও এডিট সম্ভব।

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বা অ্যাপ
    • কম্পিউটারের জন্য
    • Adobe Premiere Pro প্রফেশনাল
    • Filmora ইউজার ফ্রেন্ডলি
    • DaVinci Resolve ফ্রি এবং প্রফেশনাল
    • মোবাইলের জন্য
    • KineMAster
    • Capcut
    • Inshot
ভিডিও এডিট করার ধাপগুলো স্টেপ বাই স্টেপ নিচে দেয়া হল-
  • ভিডিও ক্লিপগুলো ইমপোর্ট করুনঃ প্রথমে আপনার দরকারি ভিডিও ক্লিপ মিউজিক ও ছবিগুলো এডিটিং সফটওয়্যার এ নিয়ে আসুন। একে বলা হয় ইমপোর্ট করা।
  • ভিডিও কাটিং বা ট্রিমিংঃ অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলুন এতে ভিডিও ছোট হবে এবং স্পষ্ট হয়।
  • ট্রানজিশন ব্যবহার করুনঃ দুই টি ক্লিপের মাঝে মানানসই ট্রানজেকশন দিলে ভিডিও আরো পেশাদার মনে হয়।
  • টেক্সট ও সাবটাইটেল যুক্ত করুনঃ ভিডিওর মূল পয়েন্ট গুলো হাইলাইট করতে টেক্সট ব্যবহার করুন। সাবটাইটেল দিলে সবাই সহজে বুঝতে পারে।
  • ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যোগ করুনঃ ভালো একটি সাউন্ড ট্র্যাক ভিডিওকে জীবন্ত করে তোলে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন মিউজিক অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি হতে হবে। ( YouTube, Audio Library, Pixabay Music )
  • কালার কালেকশন করুনঃ ভিডিওর রং উজ্জ্বলতা কন্ট্রাস্ট ইত্যাদি সামঞ্জস্য করুন যাতে দেখতে সুন্দর লাগে।
  • এক্সপোর্ট বা সেভ করুনঃ সবশেষে ভিডিওটি আপনার পছন্দ অনুযায়ী রেজুলেশন ও ফরমেটে এক্সপোর্ট করে ফেলুন।
কপিরাইট নিয়ে সতর্কতাঃ 
অন্যের ভিডিও মিউজিক বা ইমেজ ব্যবহার করবেন না যদি না তা কপিরাইট ফ্রি হয়।
ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স যুক্ত মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন।
নিজস্ব কন্টেন্ট বানালে কপিরাইট ঝুঁকি কম থাকে।
  • ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য কিছু ফ্রি রিসোর্স-
Youtube ( অনুসন্ধান করুন: How to edit videos in premiere pro for beginners )
Coursera, Skillshare ফ্রি ট্রায়াল কোর্স।
Capcut Filmora এর অফিসিয়াল টিউটোরিয়াল।

ভিডিও এডিট করা এখন আর কঠিন কিছু নয়। একবার ধরতে পারলেই আপনি খুব সহজেই কনটেন্ট বানাতে পারবেন তা ইউটিউব হোক বা ব্যক্তিগত প্রজেক্ট। ধৈর্য নিয়ে প্র্যাকটিস করুন ধাপে ধাপে শিখুন সাফল্য আসবেই। আশা করছি ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় সাথে কিভাবে ভিডিও এডিট করবেন সে সম্পর্কে বিস্তর ধারণা পেয়েছেন এছাড়াও আলোচনা করব ১ ভিউ কত টাকা। 

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে কি জানেন? ধরেন আপনি ইউটিউবে একটা চ্যানেল খুলেছেন এখন ভাবছেন আয় করব কিভাবে? প্রথমেই ভয় পাবেন না এখন এমন ১০টি রাস্তা সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলো ফলো করলে একদম ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনিও। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যাদের সরাসরি অফিসে গিয়ে কাজ করে টাকা আর্নিং করার মত উপায় থাকে না। 

এদের মধ্যে দেখা যায় বেশিরভাগই শিক্ষার্থী অথবা মেয়ে। যারা শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের পড়াশোনা পাশাপাশি ফুল টাইম চাকরি করাটাও সম্ভব হয় না বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে তো অনেকের বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি জনিত কারণে ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আপনি যদি এরকমই কেউ হয়ে থাকেন এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে এই গাইডটি আপনার জন্য। 

যদি একটু ধৈর্য ধরে আর নিয়ম মত কাজ করেন তাহলে ইউটিউব থেকেও হতে পারে একটা সুন্দর ইনকামের রাস্তা। এখনকার যুগে youtube শুধু বিনোদনের একটি মাধ্যম নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। আপনি যদি সঠিকভাবে কন্টেন্ট তৈরি করেন ও চ্যানেল পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকেই হতে পারে আপনার আয়ের বড় উৎস। তবে প্রশ্ন হলো কিভাবে তাই তো? চলুন তাহলে বিষয়টি জানা যাক-
  • ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় ( এডসেন্স ইনকাম )
কিভাবে আই হয়ঃ আপনার ভিডিওতে গুগল অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। দর্শক সেই বিজ্ঞাপন দেখলে বা তাতে ক্লিক করলে আপনি টাকা পাবেন।
যা লাগবেঃ চ্যানেলে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার। গত বারো মাসে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম অথবা ১০ মিলিয়ন শর্ট ভিউ ৯০ দিনে।
টিপসঃ ভিডিও লম্বা হলে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। এনগেজিং কন্টেন্ট বানান যাতে দর্শক বেশি সময় ধরে দেখে।
  • স্পনসরসিপ ও ব্র্যান্ড ডিলস
কিভাবে আয় হয়ঃ কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড আপনার ভিডিওতে তাদের পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার করতে চাইবে এবং এর জন্য টাকা দিবে। যখন আপনার চ্যানেলে ভালো ফলোয়ার হবে তখন ছোট বড় ব্র্যান্ড আপনাকে বলবে ভাই/আপু আমাদের এই পণ্যের রিভিউ টা একটু করে দেন আমরা টাকা দিব। এইভাবে অনেকেই প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।
উদাহরণঃ যেমন আপনি যদি টেক ভিডিও করেন কোন মোবাইল ব্র্যান্ড আপনাকে তাদের নতুন ফোন রিভিউ করতে স্পন্সর করতে পারে।
টিপসঃ নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন এবং অডিয়েন্সের সঙ্গে বিশ্বাস বজায় রাখুন।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
কিভাবে আয় হয়ঃ ধরেন আপনি বললেন এই টাইপের ক্যামেরা আমি ব্যবহার করি নিচে লিংক দিলাম। এভাবে আপনি কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক ভিডিওতে দিবেন। কেউ সেই লিংক থেকে কিছু কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। যদি কেউ ওখান থেকে কিনে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এফিলিয়েট প্রোগ্রামঃ
Daraz Affiliate
Amazon ( বাংলাদেশে VPN ব্যবহার করে )
ClickBAnk

  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
কিভাবে আয় হয়ঃ আপনি নিজের তৈরি কোন ডিজিটাল পণ্য যেমন ই বুক, কোর্স, প্রিন্টেবল ডিজাইন ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করে বিক্রি করতে পারবেন। যেমনঃ ভিডিও এডিটিং শেখার সম্পূর্ণ বাংলা কোর্স- লিংকে ক্লিক করুন।
  • চ্যানেল মেম্বারশিপ
কিভাবে আয় হয়ঃ আপনার দর্শকরা চাইলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে আপনার চ্যানেলের মেম্বার হতে পারেন এবং এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারেন। যারা আপনার বড় ফ্যান তারা চাইলে মাসে মাসে সামান্য টাকা দিয়ে মেম্বার হতে পারবে। বিনিময়ে আপনি তাদের স্পেশাল ভিডিও লাইভ সাপোর্ট কিংবা শট আউট দিতে পারবেন।
যা লাগবেঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে এবং নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পূরণ করতে হবে।
  • সুপার চ্যাট ও লাইভ স্ট্রিমিং ইনকাম
কিভাবে আয় হয়ঃ যখন আপনি লাইভে আসেন দর্শকরা চ্যাটে টাকা পাঠাতে পারে এটি এক ধরনের টিপ বা উপহার। ধরেন আপনি লাইভে আছেন কেউ ১০০ টাকা দিয়ে একটা রঙিন মেসেজ দিল - এটাই সুপার চ্যাট। অনেক ইউটিউবার এর মাধ্যমেও অনেক টাকা ইনকাম করে।
  • Youtube শর্ট ফান্ড ( ছোট ভিডিও বড় ইনকাম )
কিভাবে আয় হয়ঃ আপনার ছোট ভিডিও যদি প্রচুর ভিউ পায় তাহলে youtube আপনাকে বোনাস দিতে পারে। আজকাল শর্ট ভাইরাল হয় খুব সহজেই। ১০ মিলিয়নের বেশি ভিউ পেলে ইউটিউব থেকে বোনাস পাওয়া যায়। এতে খাটনি কম রেজাল্ট বেশি।
  • কোচিং ও কনসালটেন্সি অফার ( কোচিং দাও অভিজ্ঞতা বিক্রি কর)
যদি আপনি কিছু জানেন বা পারেন যেমন ভিডিও এডিটিং, ডিজাইন, ফটোগ্রাফি তাহলে আপনি দর্শকদের সরাসরি কোচিং সেবা দিতে পারেন। ভিডিওতে আপনি সেবার প্রচার করতে পারেন। অনেকেই এভাবে স্টুডেন্ট পাচ্ছে আর ঘরে বসে আয় করছেন।
  • মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম কনভারশন ( ইউটিউব থেকে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক )
আপনি আপনার youtube চ্যানেল ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে ট্রাফিক আনতে পারেন আর সেখানে গুগল এডসেন্স বা প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারেন। ইউটিউবে কনটেন্ট বানান আর ডেসক্রিপশনে লিংক দেন নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ওখানেই থাকুক এডসেন্স প্রোডাক্ট সার্ভিস ট্রাফিক মানে ইনকাম।
  • মারচেনডাইজ বিক্রি
নিজের ব্র্যান্ড লোগো বা মেসেজ দিয়ে টি-শার্ট মগ ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করে দর্শকদের বিক্রি করতে পারেন। অর্থাৎ ধরেন আপনি নিজের ডিজাইন করা টি-শার্ট মগ ব্যাগ বিক্রি করতে চান। ভিডিওতে বললেন এইটা আমার ডিজাইন কিনতে চাইলে লিংক নিচে। এভাবেও ইউটিউবাররা ইনকাম করে।

অনেক মানুষ আছে যারা বর্তমানে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফুল টাইম ইউটিউবার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। একবার যদি আপনি ইউটিউবে ভালো কিছু করতে পারেন তাহলে দ্বিগুণ পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার লাইফ স্টাইল এর মধ্যে আসবে আমূল পরিবর্তন। তাই আপনাদের যাদের ধৈর্য বিশ্বাস আছে এবং মনে করেন যে আপনি এই সেক্টরে ভালো কিছু করতে পারবেন তাহলে অবশ্যই আপনার চেষ্টা করা উচিত। 

ইউটিউব থেকে আয় করার রাস্তা অনেক, তবে নিয়মিত কন্টেন্ট বানানো, দর্শকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া এবং কন্টেন্টের মান বজায় রাখাই হলো সফলতার চাবিকাঠি। যদি আপনি ধৈর্য ধরে এগিয়ে যান তাহলে একসময় আপনার ইউটিউব চ্যানেলই হতে পারে আয়ের প্রধান উৎস। শুরুটা হয়তো কঠিন হতেই পারে কিন্তু যে লেগে থাকে সে ঠিকই ফল পায়। 

স্মার্টলি কন্টেন্ট বানান নিজের অডিও ভিডিও তৈরি করেন সাথে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে থাকেন। ইউটিউব শুধু ভিডিওর জায়গা না এটা এখন একটা ডিজিটাল ক্যারিয়ার প্ল্যাটফর্ম। তাই আপনি যদি চান ইউটিউব থেকেও জীবিকা গড়া সম্ভব। ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম সাথে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে আশা করছি নিশ্চয়ই বিস্তার ধারণা পেয়েছেন

ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইবার কত টাকা দেখুন

ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইবার কত টাকা আয় হয়? বাস্তব উদাহরণে জানুন ইনকামের গোপন কথা। অনেকেই ভাবে ভাই ইউটিউবে যদি ১০ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয় তাহলে কত টাকা পাবো? ১ ভিউ কত টাকা? কেউ আবার ভাবে ১ লাখ সাবস্ক্রাইবার মানেই হয়তো লাখ টাকা ইনকাম করা যায় তাইনা? আসলে ব্যাপারটা এতটা সহজ না। সাবস্ক্রাইবার ইনকামের জন্য একমাত্র মানদন্ড না বরং ইনকাম নির্ভর করে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর। 

সোশ্যাল মিডিয়া আয়ের অন্যতম মাধ্যম হওয়ার পর থেকেই ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয় করার কিছু শর্ত হচ্ছে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ৪০০০ ঘন্টা ভিউ টাইম এছাড়াও বিজ্ঞাপন, সুপার চ্যাট, মেম্বারশিপ ইউটিউব প্রিমিয়াম এবং রিভিউ ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে নানান উপায়ের মাধ্যমে  আয় করা সম্ভব।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইবারঃ প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে সাবস্ক্রাইবার মানেই টাকা না। সাবস্ক্রাইবার হল এমন মানুষ যারা আপনার ভিডিও দেখতে আগ্রহী। কিন্তু টাকা আসে ভিডিওর ভিউ থেকে আর সেই ভিউ আসে কনটেন্ট ভালো হলে। 
  • উদাহরণঃ মনে করেন একজন ইউটিউবার এর ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কিন্তু ভিডিওতে ১০ লাখ ভিউ।
  • আরেকজন পঞ্চাশ হাজার সাবস্ক্রাইবার কিন্তু ভিডিও দেখে ৫ হাজার লোক।
  • কাকে ইউটিউব বেশি ইনকাম দেবে আপনার কি মনে হয়? অবশ্যই প্রথমজনকে।
কত টাকা পাওয়া যায় ( CPM, RPM দিয়ে হিসাব)-
  • CPM ( Cost Per Mille )ঃ প্রতি ১ হাজার বার বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ইউটিউব কত টাকা নিচ্ছে সেটাই CPM
  • RPM ( Revenue Per Mille )ঃ  আপনার এক হাজার ভিউ থেকে আপনি কত টাকা পাচ্ছেন সেটাই RPM
  • বাংলাদেশের সাধারণত RPM থাকে $0.50-$2.00 এর মধ্যে ( মানে এক হাজার ভিউতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা )
তাহলে সাবস্ক্রাইবার না থাকলে কি আয় করা যায় না? না অবশ্যই যায়। অনেকের ছোট চ্যানেল তারপরও শুধু একটা ভাইরাল ভিডিও থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। ধরেন আপনি এখনই নতুন চ্যানেল খুললেন। একটা রিলেটেবল শর্ট বানালেন। যেমন হতে পারে হুমায়ুন আহমেদের কোন উক্তি নিয়ে। আর সেটা 10 লাখ মানুষ দেখল। সেখানে যদি এড চলে তাহলে আপনি ভালো RPM পেতে পারেন। এমনকি মনের মত ব্র্যান্ড ও আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইবার কত টাকা? একটা কথা মনে রাখবেন ভিউ টাকা আনে কিন্তু সাবস্ক্রাইবার বিশ্বাস আনে। তাই আপনার কাজ হল ভালো কনটেন্ট বানানো, নিয়মিত আপলোড করা, আর দর্শকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে, সাথে ভিউ বাড়বে আর ইনকাম আপনা আপনি আসবে। 

১ ভিউ কত টাকা দেখুন

১ ভিউ কত টাকা দেখুন। ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় এবং ইউটিউব  চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় ইতিমধ্যে জেনেছেন। ইউটিউব প্লাটফর্মে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে নির্মাতারা টাকা আয় করেন। তবে যারা ইউটিউবার রয়েছেন তারা একটি ভিডিওর পরিবর্তে কত টাকা আয় করছেন? 
১ ভিউ কত টাকা দেখুন
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ইউটিউবে একটা ভিডিও ১০ হাজার ভিউ হয়েছে এতে কত টাকা পাওয়া যাবে? ১ ভিউ কত টাকা আয় হয়? এই প্রশ্নটা youtube শুরু করা প্রায় সবাই করে আর একেবারে স্বাভাবিক। কিন্তু উত্তরটা অনেকের কাছেই ধোঁয়াশা। চলেন বিষয়টা সহজেই খোলাখুলি জানা যাক-

প্রথমে একটা সত্য কথা হলো ইউটিউবে ভিউ গুনে টাকা দেয় না। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন ভিউ মানেই টাকা নয়, টাকা আসে তখনই যখন সেই ভিডিওতে এড দেখানো হয়। ধরেন 10000 মানুষ আপনার সেই ভিডিও দেখছে কিন্তু আপনার ভিডিওতে আসা এড কেউ স্কিপ করে দিল বা এড দেখলোই না তাহলে ইনকাম হবে খুবই কম।

১ ভিউ কত টাকা? বাংলাদেশ বা ভারতের মতো দেশে প্রতি এক হাজার ( যেখানে এড দেখায় ) ভিউতে গড়ে 50 থেকে 200 টাকা। অর্থাৎ এক ভিউয়ে আয় হয় প্রায় ০.০৫-০.২০ টাকা।
উদাহরণঃ ধরেন আপনার ভিডিওতে ১০ হাজার ভিউ হল-
যদি CPM হয় ১ ডলার ( প্রায় ১১৫ টাকা )
তাহলে ১০০০ ভিউ  = ১১৫ টাকা
মানে ১০ হাজার ভিউ = ১১৫০ টাকা। 

তবে এই হিসাব কেবল তখনই সত্যি হবে যদি সব ভিডিওতে ভিউ হয় এবং এ্যাড চলে আর স্কিপ না করে দেখা হয়। ধরেন আপনি একটা শর্ট ভিডিও বানালেন সেটা ১০ লাখ ভিউ পেল। তাহলে যদি ১০০০ ভিউয়ের মাত্র ১০০ টাকা পাওয়া যায়। ১০ লাখ ভিউতে হবে প্রায় ১ লাখ টাকা। তাই ভিউয়ের দাম কম, কিন্তু সংখ্যায় যদি অনেক হয় ইনকাম ও অনেক হয়। 

শেষ কথা- ১ ভিউয়ের আয় ছোট হলেও স্বপ্ন কিন্তু অনেক বড়। একটা ভিউ থেকে এক টাকা না পেলেও 10 লাখ ভিউ মানে অনেক টাকা। আপনার কনটেন্টের মান যত বেশি ভালো হবে মানুষ তত বেশি সেই ভিডিওটি উপভোগ করবে, যা ভিউ এবং এনগেজমেন্ট বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই নিজের কনটেন্টে প্রতি বিশ্বাস রাখুন, নিয়মিত কাজ করুন আর গুণগতমান ধরে রাখুন। ইউটিউব শুধু ইনকামের জায়গা না এটা এখন ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়ার মঞ্চ।

এক্সট্রা টিপসঃ Fiver/Upwork ব্যবহার করে youtube রিলেটেড সার্ভিস বিক্রি করা

Fiver/Upwork ব্যবহার করে youtube রিলেটেড সার্ভিস বিক্রি করে কিভাবে আয় করা যায়? ঘরে বসে ডলার কামানোর সহজ উপায়। ভাবুন তো আপনি ঘরে বসে ইউটিউবে ভিডিও এডিটিং করছেন, থাম্বনেইল ডিজাইন করছেন বা SEO Optimization করে দিচ্ছেন আর বিনিময়ে পাচ্ছেন ২০/৫০ এমন কি ১০০ ডলার করে। কেমন হবে? এই কাজগুলো আপনি করতেই পারেন শুধু Fiver/Upwork এর মত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নিজের সার্ভিস অফার করে। 

Youtube রিলেটেড কোন কোন সার্ভিস বিক্রি করা যায়? ( ডলার উৎসব লিস্ট )
আপনার যদি ইউটিউব সম্পর্কে সামান্য অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে নিচের কাজগুলো করে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম এর পাশাপাশি Fiver/Upwork এর মত প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আয় করা একদমই সহজ যেমন-
    • Video Editing
    • YouTube Thumbnail Design
    • SEO Optimization ( Titlr Tags DEscription )
    • Script Writing
    • Channel Setup & Branding
    • Voice Over
    • Shorts / Reels Conversion
কিভাবে ফাইবার এ ইউটিউব সার্ভিস বিক্রি শুরু করবেন-
    • ধাপ-১  প্রথমত fiver.com এ একাউন্ট খুলুন। 
    • ধাপ ২ নিজের প্রোফাইল সুন্দর করে সাজান নিজের স্কিল গুলো লিখুন।
    • ধাপ-3 Gig তৈরি করুন যেমন- "I will create professional Youtube thumbnails that get clicks" / "I will do SEO optimization for your Youtube videos"
    • টিপসঃ Gig টাইটেল যেন পরিষ্কার ও আকর্ষণীয় হয়। 
    • ডেসক্রিপশনে কি দিচ্ছেন সেটা সহজ ভাষায় বলুন। 
    • তিনটা প্যাকেজ বানান Basic, Standard, Premium
    • কিছু স্যাম্পল ভিডিও বা থাম্বনেইন দেখান। 
Upwork এ কিভাবে youtube সার্ভিস এর কাজ পাবেন?
Upwork একটু আলাদা প্লাটফরম তাই এখানে ক্লায়েন্টেরা কাজের বিজ্ঞাপন দেয় আর আপনাকে প্রপোজাল পাঠাতে হয়। নিচে স্টেপ গুলো বলা হল- 
    • আপওয়ার্ক প্রোফাইল বানান।
    • নিজের স্কিল ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
    • প্রতিটি কাজের জন্য কাস্টমাইজড প্রপোজাল পাঠান।
কেন ইউটিউব সার্ভিসে এত চাহিদাঃ youtube এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বড় সার্চ ইঞ্জিন। এতে প্রতিদিন লাখ লাখ ভিডিও আপলোড করা হয়। অনেক ইউটিউবার নিজের ভিডিও বানালেও এডিটিং বা থাম্নেইল বানাতে জানে না। বিদেশে ক্লাইন্টরা টাকা দিয়ে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খোঁজে তাই আপনার স্কিল থাকলে কাজের অভাব হবে না। তাহলে নিশ্চয়ই ১ ভিউ কত টাকা এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় সাথে Fiver/Upwork ব্যবহার করে কিভাবে ইউটিউব রিলেটেড সার্ভিস বিক্রি করবেন বুঝতে পেরেছেন। 

ইউটিউব শুধু নিজের ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে না আপনি চাইলে অন্যদের ইউটিউব কনটেন্ট এর জন্য সহযোগী হয়ে উঠতে পারেন। এডিটর, ডিজাইনার, রাইটার কিং, বা এসইও এক্সপার্ট হিসেবে। আর Fiver/Upwork হল সেই দরজা যেখান থেকে ডলার আয়ের জগতে ঢোকা যায়। 

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ ইউটিউবে টাকা কিভাবে তুলতে হয়?
উত্তরঃ ইউটিউব থেকে টাকা তুলতে হলে আপনাকে কয়েকটা সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে-
  • প্রথমে এডসেন্স একাউন্ট খুলুন।
  • এডসেন্স এ নিজের ব্যাংকের তথ্য দিন বাংলাদেশে এখন ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসে। বিকাশ বা নগদে সরাসরি আসছে না।
  • $100 পূর্ণ হলে টাকা রিলিজ করুন।
  • সাধারণত প্রতি মাসের ২১ থেকে ২৬ তারিখে টাকা পাঠানো হয়।
  • শুধু নিয়ম মেনে সেটিংস ঠিক রাখলেই আপনার ইনকামের টাকা তোলাটা একেবারে সহজ।
প্রশ্নঃ লাভজনক youtube চ্যানেল তৈরি করতে সময় কত লাগে?
উত্তরঃ লাভজনক youtube চ্যানেল তৈরি করতে সাধারন ভাবে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগে। যদি নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট আপনি আপলোড করতে পারেন এবং স্মার্ট ভাবে কাজ করেন। কেউ কেউ এক মাসেই ইনকাম শুরু করে, আবার কারো এক বছরও লাগতে পারে। তাই নিয়মিত ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে ছয় মাসেই লাভের মুখ দেখা সম্ভব।

প্রশ্নঃ youtube কত দিন টাকা দেয়?
উত্তরঃ youtube ততদিন টাকা দিবে যতদিন আপনি নিয়ম মেনে ভিডিও বানাবেন। মানে আপনি যদি ইউটিউব এর মনিটাইজেশন শর্ত পূরণ করে এডসেন্স অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন, আর নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করেন তাহলে ইউটিউব আপনাকে প্রতিমাসে্র আয় অনুযায়ী টাকা পাঠাবে। তবে নিয়ম ভাঙ্গলে বা কপিরাইট কমিউনিটি গাইড লাইন লংঘন করলে ইউটিউব মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিতে পারে। তাই যতদিন নিয়ম মেনে কন্টেন্ট দিবেন, ততদিনই ইউটিউব আপনাকে টাকা দিবে।

প্রশ্নঃ ভিডিও ছাড়া কি youtube চালানো যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ ভিডিও ছাড়াও ইউটিউব চালানো যায়। আপনি নিজে সামনে না এসে বা ক্যামেরা ব্যবহার না করেও ইউটিউব চ্যানেল চালাতে পারেন। যেমন এনিমেশন ভিডিও তৈরি করে, স্ক্রিন রেকর্ডিং ভয়েস, ওভার বা ছবি স্লাইড ব্যবহার করে, কপিরাইট ফ্রি ভিডিও বা ফুটেজ ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চালাতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন ভিডিও মানে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো নয় বুদ্ধি আর আইডিয়া থাকলে youtube চালানো সম্ভব।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আমার নিজস্ব অভিমত

আজকের আর্টিকেলে ভিডিও ছাড়াও ইউটিউব থেকে ইনকাম সম্ভব কিভাবে? থেকে শুরু করে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়, কপিরাইট ফ্রি ভিডিও কোথায় পাবেন, কিভাবে ভিডিও এডিট করবেন, ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়, ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইবার কত টাকা দেখুন, ১ ভিউ কত টাকা দেখুন, এক্সট্রা টিপসঃ Fiver/Upwork ব্যবহার করে youtube রিলেটেড সার্ভিস বিক্রি করা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

দিন শেষে youtube শুধু ভিডিও বানানোর প্ল্যাটফর্ম নয়, এটা একটা বিশাল ইকোসিস্টেম। যেখানে হাজারো কাজের সুযোগ লুকিয়ে রয়েছে। যারা ক্যামেরা সামনে আসতে চান না তারাও দক্ষতা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে খুব সহজে এই প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে পারবেন। তাই আর অপেক্ষা নয় আজ থেকে কাজ শুরু করুন। কারণ ইউটিউব এখন শুধু ভিডিও তৈরির মাধ্যম না বরং দক্ষতার বিনিময়ে ঘরে বসে আয়ের দারুন সুযোগ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url